ডেস্ক রিপোর্ট: শীতের প্রকোপ বাড়ছে রংপুরসহ উত্তরের জেলাগুলোতে। ঘন কুয়াশা আর বাতাসের কারণে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে বেশি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ডিসেম্বরের শেষের দিকে বয়ে যেতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ।
চারিদিক আচ্ছন্ন ঘন কুয়াশায় আর এই দৃশ্য উত্তরের জেলাগুলোর। দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। দিনের বেলায় মাঝে মধ্যে সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত থাকে কুয়াশা আর শীতের দাপট। আর এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষেরা। অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে।
এদিকে, দিনে কিছুটা উষ্ণ আবহাওয়া আর রাতে তীব্র ঠান্ডার কারণে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রনজিৎ বসাক জানান,'সন্ধ্যা বা ভোরে বাচ্চাদের বাইরে বের করার ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে। সূর্যটা ওঠার পর বাইরে বের হলে কিছুটা ভালো থাকবে।'
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাত দিন ধরে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। তবে, এই মাসের শেষের দিকে বয়ে যেতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। রংপুর আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মস্তাফিজার রহমান বলেন.'মেঘ সৃষ্টি হওয়ার কারণেই মূলত সূর্য দেখা যাচ্ছে না। এই মুহুর্তে অতি তীব্র শৈত প্রবাহ হবার সম্ভবান কম। মাঝারি থেকে মৃদু যে শৈত প্রবাহ সেট হবার সম্ভবনা সামনে আছে।'
উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস, ফলে বাড়বে শীতের তীব্রতা।ডিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :