রাহুল রাজ: [২] বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও ফরচুন বরিশাল। ২৮ নভেম্বর দিনের দ্বিতীয় খেলায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
[৩] এদিকে টুর্নামেন্টে টানা জিতে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়ে রয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হয়েছিল রাজশাহী। মেহেদী হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের বড় সংগ্রহই পায় তারা। সাত নম্বরে নামা মেহেদী ৩২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫০ রান করেন।
[৪] জবাবে শেষ দিকে মুক্তার আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ঢাকা। ১৯তম ওভারে তিনটি ছক্কা মেরে জয়ের সমীকরণ ৯ রানে নামিয়ে আনেন মুক্তার। তবে শেষ ওভারে মেহেদীর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ৯ রান তুলতে পারেননি তিনি। ওই ওভার থেকে ঢাকা মাত্র ৬ রান পাওয়ায় ২ রানে জয় পায়
[৫] প্রথম জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে রাজশাহীর খেলোয়াড়রা। ফলে পরের ম্যাচেও জেমকন খুলনাকে সহজেই হারায় রাজশাহী। খুলনার ছুঁড়ে দেওয়া ১৪৭ রানের টার্গেট ১৬ বল বাকি রেখেই জয়ের স্বাদ পায় রাজশাহী। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৪ বলে ৫৫ ও মোহাম্মদ আশরাফুল অপরাজিত ২৫ ও রনি তালুকদার ২৬ রান করেন। ৬ উইকেটে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠে রাজশাহী।
[৬] অন্যদিকে জয় দিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুটা করতে পারতো তামিম ইকবালের বরিশাল। তবে দুভার্গ্য সঙ্গী ছিল তামিমের দলের। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫২ রান করে বরিশাল। পরে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারের মুখে পড়ে খুলনা। শেষ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন পড়ে খুলনার। এতে জয় দেখছিল বরিশাল।
[৭] শেষ ওভারে চার ছক্কা মেরে বরিশালকে জয় বঞ্চিত করেন আরিফুল হক। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৮ রান করেন খুলনার আরিফুল। জয়ের কাছে গিয়ে তরী ডুবায় হতাশ বরিশাল। তবে এবারের ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া বরিশাল!