শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি প্রথম চার মাসেই ২৯.১৪ শতাংশ

মনির ফয়সাল: [২] করোনা মহামারির কারণে বিগত অর্থ বছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের। এই ঘাটতি পূরণে ২০২০-২১ নতুন অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬৫ হাজার ৪৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা বিগত অর্থ বছরগুলোর তুলনায় বেশি।

[৩] কিন্তু রাজস্ব আদায়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিও যেতে পারছে না কোনোভাবে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যপূরণ কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

[৪] চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। এ চার মাসে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ হাজার ১০৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ১৪ হাজার ২৪৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ হাজার ৮৫৮ কোটি ৯ লাখ টাকা কম। তবে ২০১৯-২০ সালের (জুলাই-অক্টোবর) তুলনায় ২৩৩ কোটি ৭৯ লাখ বেশি। বিগত অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৪ হাজার ১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

[৫] রাজস্ব ঘাটতির বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশে ৬০-৭০ শতাংশ পণ্য আমদানি হয় চীন থেকে। গত মার্চ থেকে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করলেও চীনে তা শুরু হয় জানুয়ারি থেকে। চীনে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়া মানেই রাজস্ব আহরণ কমে যাওয়া।

[৬] কাস্টমস কমিশনার বলেন, করোনার প্রভাবের পাশাপাশি উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানির হার কমে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন এ সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যে পরিমাণ গাড়ি আমদানি হওয়ার কথা, সে তুলনায় তা অনেক কম হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন সুবিধার কারণে গাড়ি আমদানিকারকরা চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে মোংলা বন্দরকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।

[৭] তিনি বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগের অর্থবছরের তুলনায় যে প্রবৃদ্ধি ধরা হয় বাস্তবে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সেই প্রবৃদ্ধি অনেক কম। আমদানি প্রবৃদ্ধি যদি সেভাবে না বাড়ে তাহলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অবশ্যই কঠিন।

[৮] চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৪৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম চার মাসে আয় হয়েছে ১৪ হাজার ২৪৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে আগামী আট মাসে আরো ৫১ হাজার ১৮৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা আয় করতে হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়