আশরাফুল আলম খোকন : আপনার কথা আমাকে কেন শুনতে হবে ? আমরা কী করবো, না করবো সেটা বলার অধিকার আপনি কোথায় পেয়েছেন। এই ম্যান্ডেট আপনাকে কে দিয়েছে? কোন ইমামের পেছনে নামাজ পড়বো, কার পেছনে পড়বো না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিকও আমি নিজেই।
আপনাদের অনেক কষ্ট আছে, সেটা আমরা জানি। কারণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের মানুষ আপনাদের পূর্ব পুরুষদের এদেশ থেকে ঝেটিয়ে পাকিস্তান বিদায় করেছিল। তখন এদেশে থেকে যাওয়া তাদের কিছু বীজ, পরবর্তী নেতৃত্বের ভুলে আজ ডালপালা ছড়িয়েছে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করবেন, বিরুদ্ধে বলবেন, এটাতো আপনাদের পুরাতন দুঃখ।
এই দেশের গতি প্রকৃতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক হবে, এটা ১৯৭১ সালেই নির্ধারিত। তখনই পরাজিত হয়েছেন। হুঙ্কার দিয়ে লাভ নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে পালাবার পথ পাবেন না। মনে রাখবেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন, আমাদের আদর্শের মূল স্তম্ভ, আমাদের অস্তিত্বের ঠিকানা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বললে হিসাব করেই বলা উচিত। বেহিসাবি কথা বললে ফলাফল বেহিসাবিই হবে।
ধর্ম কর্ম করেন, রাজনীতি করতে আইসেন না।এই দেশে ধর্মের জন্য যা কিছু করেছে বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধুকন্যাই করেছেন। এসবের সুবিধা ভোগ করা ছাড়া আপনাদের আর কৃতিত্ব কী? যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে ওপেন ডিবেটে আসেন। দেখি জ্ঞানের দৌড় কতো!
ভাস্কর্য ও মূর্তির পার্থক্য কি তা বোঝার মতো শিক্ষা আপনাদের আছে বলেই মনে করি। এই দেশে বসে যেসব দেশের জিকির করেন সব দেশেই যে ভাস্কর্য আছে তাও আপনারা জানেন। এরপরও এই দেশে বসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের কেন বিরোধিতা করেন তাও বুঝি। ওই যে বললাম পুরনো কষ্ট, একাত্তর সালে পরাজয়ের প্রতিশোধের স্পৃহা।
আপনার মতামত লিখুন :