শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:৪৭ সকাল
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহসান হাবিব: কোনো ধর্মই প্রগতিকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না

আহসান হাবিব : কোনো ধর্মই প্রগতিকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। জগত যে সূত্র দ্বারা এগিয়ে চলে এবং মানুষ নামক এক কল্পনা শক্তির অধিকারী প্রাণি প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যকে আত্মস্থ করে বিজ্ঞান জগত গড়ে তোলে, এটা ধর্মের মৌল বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ধর্ম বস্তু সত্য থেকে এতোটাই দূরে যে আদতে কোনো সম্পর্কই নেই। এটি একটি অলৌকিক সত্ত্বার ওপর ভর করে গড়ে ওঠে যা চরিত্রের দিক থেকে শিশুতোষ এবং আদিম। অনুন্নত সমাজের যে ক্ষমতা কাঠামো, তার ভেতর থেকে অপেক্ষাকৃত ক্ষমতাবান শক্তি রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করার ছলনায় ধর্ম নামক এক বিভ্রম তৈরি করে।

এটি কাজ করে কেননা মানুষ তার অসহায়ত্ব ভুলে থাকার জন্য নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে এর ছায়াতল এসে দাঁড়াতে বাধ্য হয়। কিন্তু সময় যতো এগিয়ে চলে, প্রকৃতির নিয়মগুলো মানুষের হস্তগত হতে থাকে, ধর্মের চাপিয়ে দেওয়া বাণীগুলো ততো প্রাসঙ্গিকতা হারাতে থাকে। এই হারানোর কারণ শুধু বস্তুর সত্য উদ্ঘাটনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তা মানুষের জীবনধারণ এবং তার ক্রম উন্নতভাবে টিকে থাকার ক্ষেত্রে অসাধারণ সহায়ক হয়ে ওঠে যা ধর্ম দ্বারা কখনোই সম্ভব নয়। তাই ধর্ম যতোই মানুষকে পিছন দিকে টানার চেষ্টা করুক, ধরে রাখা সম্ভব নয়।

কিন্তু ধর্ম যে প্রভাব মানবমনে ফেলে, তা খুব সহজেই দূর হতে চায় না । এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে শিক্ষার ওপর। যে শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্ম উপাদান হিসেবে থেকে যায়, তা শিশু ও মানবমনে একটা ছায়াপাত রেখে যায়। আর যেহেতু প্রকৃতিকে সম্পূর্ণ আত্মস্থ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, তাই সবসময় একটি প্রশ্ন তাকে তাড়া করে ফেরে। ‘আমরা কোথা থেকে এলাম’? যদিও বিজ্ঞান এই প্রশ্নের উত্তরের চাইতে এতো বেশি প্রকৃতির সত্যকে উদঘাটন করে ফেলেছে যে, ধর্মের প্রাসঙ্গিকতা সমুলে ধ্বসে পড়ে এবং পেরিয়ে আসা সময়ের দিকে তাকিয়ে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে মানুষ তার অস্তিত্বের প্রশ্নে যে শুধু বস্তুজগতের ওপরই নির্ভরশীল, তার সত্য আবিষ্কার করে ফেলেছে।

শুধু তাই নয়, মানুষ তার আনন্দ বিধানের জন্য, উপভোগের জন্য ক্রমাগত যে আবিষ্কার করে চলেছে, ধর্মের কোনো উপাদান তাতে এতোটুকু নেই। এই যে বস্তু সত্যের ক্রমাগত অগ্রযাত্রা, তা ঠেকিয়ে রাখার কোনো শক্তি ধর্মের নেই। তাই প্রগতির সঙ্গে ধর্মের বিরোধ অবশ্যম্ভাবী এবং পরাজয় অনিবার্য। এটা কারো ইচ্ছার বিষয় নয়, এটাই ঘটবে। তবে প্রগতিকে ঠেকিয়ে রাখতে যখন ধর্ম যখন তার ঢাল তলোয়ার নিয়ে হাজির হয়, প্রগতির অনেক মূল্য দিয়ে হয়। তথাপি সত্য এই প্রগতির জয়যাত্রা অপ্রতিরোধ্য, কোনো শক্তিরই তাকে ঠেকিয়ে রাখার শক্তি নেই, কেননা এটাই বস্তুর ধর্ম, যা মানব বৈশিষ্ট্যে মানসিক ও জৈবিক-বিদ্যমান এক অবিচ্ছিন্ন সত্ত্বা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়