স্বপন দেব: [২] মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ছলিমগঞ্জ বাজারের ঐতিহ্যবাহী ছলিমবাড়ির কৃতি সন্তান বৃটেন প্রবাসী বিশিস্ট সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, কমিউনিটি নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ আলী সাফওয়ান চৌধুরী ব্রিটেনের মহামান্য রানীর পক্ষ থেকে এ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।
[৩] কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সাফওয়ান এর ব্যক্তিগত উদ্যোগ সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তার, নার্স, কর্মী, ব্রিটিশ এ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশ বিভাগের কর্মীদের মধ্যে নিজ উদ্যোগে বিতরণ করেছেন হাজার হাজার প্যাকেট খাবার। যার কারণে ব্রিটেনের মহামান্য রাণীর প্রতিনিধি হিসেবে লড লেপ্টেনেন্ট ও হাই শেরিপ কর্তৃক সাফওয়ান চৌধুরী ও তাঁর পিতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে “হিরো অব হার্ডফোর্ড শায়ার” খেতাবে ভূষিত করে। বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক পিতা-পুত্র এলাকা ও দেশের জন্য অনন্য এক সম্মান বয়ে এনেছেন।
[৪] ১৯৯৬ সালে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ছলিমগঞ্জের ছলিমবাড়ির কৃতি সন্তান সাফওয়ান চৌধুরী লন্ডণের কেমব্রিজ শায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মাতা: জিনিফা চৌধুরী, দাদা: সিকন্দর আলী চৌধুরী, দাদি: আলেয়া বেগম চৌধুরী। লেখাপাড়ার সুত্রপাত মেরিডিয়ান স্কুল রয়স্টন, যার ধারাবাহিকতায় ব্রিটেনের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজের পিটার জন এন্টারপ্রাইজ, একাডেমী (প্রাইভেট) প্রতিষ্ঠান যার প্রতিষ্ঠাতা ইইঈ-২ ড্রাগনস এর ডেন টাইকন পিটার জনস ঈইঊ থেকে কৃতিত্বের সাথে এ লেভেল সম্পন্ন করেন। পরবর্তী পর্যায়ে ইউনিভার্সিটি অব হার্ড ফোর্ডশায়ার থেকে মার্কেটিং এন্ড ইকোনমিকস এ গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
[৫] মাত্র ১৮ বছর বয়সে কারী ইন্ড্রাষ্টিতে প্রথম পথ চলার শুরু। এর ফলস্বরূপ ঐ বছরই ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ট টেকওয়ে/রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়িক হিসেবে স্বীকৃতি পান, যা ইইঈ ও ডেইলি স্টার বিশদভাবে তাদের নিউজে প্রকাশ করে। কারী ইন্ড্রাষ্টিতে তিন পুরুষের পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রেখে ২০১৯ সালে পিতার কাছ থেকে তার বর্তমান ব্যবসা ব্রিটিশ রাজ এক্সপ্রেসের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। যা এই এলাকার ভোজন বিলাসী মানুষের অন্যতম পছন্দের জায়গা হিসাবে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি পেয়েছে।
[৬] ব্যবসার পাশাপাশি ইউনিভার্সিটিতেও সাফওয়ান তার উজ্জ্বল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন বিভিন্নভাবে। ছিলেন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নির্বাচিত চিফ ট্রাস্টি। যা একটি মাল্টিমিলিয়ন অগ্রেনাইজেশন। ইউনিভার্সিটির কমিউনিটিতে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে জিতে নেন ঐতিহাসিক ইউনিয়ন ফেলোশীপ অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও হার্ড ফোর্ডশায়ার। ইউনিভাসির্টির বাংলাদেশী সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এবং জেনারেল সেক্রেটারি দায়িত্ব পালন করেন।