আরিফুজ্জামান তুহিন: বাংলাদেশে পার ক্যাপিটা জিডিপি এবার ভারতকে ছাপিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিকাশের প্রথম প্রতিবন্ধকতা হলো ভারত। আবার ভারতের অ্যাকিলিস হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আর্থিক ও সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী হলে ভারতের পূর্বরাজ্যগুলো ভেঙে যেতে পারে। এক সময় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে উদারপন্থি ইসলামের দারুণ সমাজ ছিল। আফগানিস্তানে শতশত দরগা ছিল। জঙ্গিরা ক্ষমতায় আসার আফগানিস্তানের মাজার, দরগা গুড়িয়ে দিছে। তাদের প্রধান সেলেবল প্রডাক্ট হচ্ছে সহি ইসলাম। অর্থাৎ আপনার বাপ-দাদা যেভাবে ইসলাম পালন করেছেন সেটা সহি না। এই সহি বিষয়টা মূলত জঙ্গিদের বানানো। আপনি হীনমন্যতায় ভুগলেই ধরা খাবেন, আপনিও জঙ্গিবাদের ঘুমন্ত সমর্থক হয়ে যাবেন। সালাফিস্ট জঙ্গিরা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে খেয়ে দিয়েছে। এতে লাভ হয়েছে ভারতের। সারা দুনিয়াতে ভারতের মিডিয়াগুলো পাকিস্তানকে টেররিস্ট রাষ্ট্র হিসেবে দেখায় এবং তারা সফল।
বাংলাদেশ অল্প অল্প করে ভারত থেকে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ায় গোটা ভারতের মিডিয়া স্রেফ পাগলামি শুরু করেছে। বাংলাদেশের জঙ্গিদের কিন্তু বড় আশ্রয়স্থল ভারত। ফ্রান্সের বাজারে বাংলাদেশের ২৪ হাজার কোটি টাকার বাজারও ভারত পেতে চায়। সে কারণে তারা ফ্রান্সের পক্ষে মিডিয়া ও জনমত কাজে লাগাচ্ছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে পারলে ভারতের লাভ সব থেকে বেশি। ফলে মৌলানাদের এই বাড় বাড়ন্তের পেছনে শুধু ফ্রান্স রাষ্ট্রের ইসলামফোবকে দেখলে চলবে না, আমার কাছে আরো বড় কিছু মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে গত এক দশক যেহারে সালাফিস্ট ও দেওবন্দিদের মাংস, দুধ ডিম খাইয়েছে তাতে তারা ভয়াবহ হিংস্র হয়ে ওঠার সক্ষমতা অর্জন করেছে। সেই সক্ষমতা দিয়ে তারা সারা দেশে ইউটিউব ব্যবহার করে মিথ্যা ছড়িয়েছে, জঙ্গিবাদের উশকানি দিছে। এর ফলে মাঠে লাখ লাখ তৌহিদি জনতা তৈরি হয়েছে। এখন কোনো সংস্থা চাইলেই তৌহিদি জনতার কার্ড খেলে দিতে পারে। মনে রাখা দরকার এই দেশ ৩০ লাখ মানুষের রক্তের দামে কেনা। সালাফিস্ট ও দেওবন্দিরা স্বাধীনতা আনেনি। রক্তের দামে কেনা রাষ্ট্রে শ্রমিক কৃষকের ভাগ চান। সাম্যর সমাজের ডাক দেন। তা না হলে ভারত ও জঙ্গিরা পাকিস্তান আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশকেও খেয়ে দেবে।