আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]তিউনেশিয়ার হামলাকারী শরণার্থী হিসেবে ফ্রান্সে এসেছিল ইব্রাহিম আউসৌই (২১), মুসলিমরা শঙ্কায় কর্মকর্তারা জানান, ২১ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারীর কাছে ইতালিয়ান রেড ক্রসের নথিপত্র পাওয়া গেছে। গতমাসেই সে নৌকায় করে ইতালির লামপেডুসা দ্বীপে এলে এই কাগজটি দেয়া হয়। এদিকে নিহত ৩ ব্যক্তির একজনের শিরচ্ছেদ করে মাথা আলাদা করে ফেলেছিলো হত্যাকারী। বিবিসি
[৩] কমকর্তারা প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে জানিয়েছেন, হামলায় একটি ১২ ইঞ্চি ফলার ছুরি ব্যবহার করা হয়েছিলো। যারা হত্যার শিকার হয়েছেন, প্রত্যেকে সেসময় ব্যাসেলিকা অব নটরদেমের ভেতর প্রার্থনা করছিলেন। এনবিসি
[৪] নিহতদের একহন ৬০ বছর বয়সী নারী, একজন গির্জার কর্মী এবং আরেকজন ৪৪ বছর বয়সী নারী। ৬০ বছর বয়সী নারীর গলা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে হত্যাকারি। তিনি এবং গির্জার কর্মচারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর অন্য নারীকে পাশের একটি ক্যাফেতে আহত অবস্থায় নেয়া হয়। তিনি সেখানে মারা যান। ফ্রান্স ২৪
[৫] ফ্রান্সের প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটার জিয়ান-ফ্রানকোয়িস রিচার্ড জানান, হামলাকারী স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে ট্রেনে করে নিসে আসে। এরপর আধাঘণ্টা স্টেশনে কাটিয়ে, পায়ে হেটে ৪০০ মিটার দূরের গির্জায় যায়। জানা গেছে, আহত হলেও হামলাকারী এখনও জীবিত আছে। এএফপি
[৬] এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন, তার দেশ হামলার শিকার। তিনি কারও নাম না বললেও তার ইঙ্গিত মুসলিমদের দিকে স্পষ্টভাবেই ছিলো। এরপর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন দেশটির মুসলিমরা। এর আগে ৭৫টি মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করেছিলো দেশ টি। একটি সূত্র বলছে, ফরাসি মন্ত্রীসভা দেশটির সকল মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেবার পরিকল্পনা করছে। অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হতে পারে নামাজসহ সকল ধর্মীয় কার্যক্রমও। আল জাজিরা