ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] আলুর দাম কম থাকে বলে অতীতে বিভিন্ন সময় চালের পরিবর্তে আলু খাওয়ার পরামর্শ শুনেছি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে।
[৩] ‘বেশি বেশি আলু খান, ভাতের উপর চাপ কমান’- এমন অমর বাণীও রচিত হয়েছে। এখন বোধহয় উল্টো বলার সময় চলে এসেছে, ‘বেশি বেশি ভাত খান, আলুর উপর চাপ কমান!’ এছাড়া উপায় কী?
[৪] চালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। আলু এখন সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তারা হাঁসফাঁস করছে, কিন্তু বলতে পারছে না কাউকে জীবন যাতনার কথা। ঢাল আর আলুর ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়ার দিনও বোধহয় ফুরাতে যাচ্ছে। গরিব মানুষের জন্য একসময় আলু খাওয়া সৌভাগ্য বলে বিবেচিত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
[৫] এই আলু সাধারণের প্রতিদিনকার তরকারি অন্যতম অনুসঙ্গ। ভর্তা, ঢাল আর ডিম- কম আয়ের মানুষের খাবার মেন্যুর একটি। ইতোমধ্যেই ডিমের দাম ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় উঠেছে। আলুর দাম ৫০ হওয়ায় এখন ঢালের দাম আকাশে ওঠার অপেক্ষা, তাহলে ষোলোকলা পূর্ণ হবে। লবণ, পানি, হলুদ ও মরিচের মিশেলে হয়তো নতুন কোনো তরকারির মেন্যু আবিষ্কার হবে। বলা হবে, এই মেন্যুর তরকারি খুবই সুস্বাদু, অত্যন্ত পুষ্টিকর! খেতে পারেন আপনিও!
[৬] সাধারণ মানুষ কি এই রাষ্ট্রের কেউ নয়? রাষ্ট্র কি দেখবে না জনতার এই রক্তক্ষরণ? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :