শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনোয়ার হক: করোনা চিকিৎসায় বিড়ম্বনা, হয়রানি এবং বিপরীত চিত্র

আনোয়ার হক: হালকা জ্বর আর সর্দি দেখা দিল। পারিবারিক চিকিৎসক Fexo 120 এবং জ্বর ১০০° উঠলে প্যারাসিটামল সেবনের পরামর্শ দিলেন। সর্বোচ্চ একদিন ১০২° পর্যন্ত উঠেছিল। বাকি দিনগুলিতে ১০০°, ১০১°। ছয়-সাত দিন চললো এভাবেই। কোন কষ্ট নাই, সর্দি ভাল হয়ে গেল। কিন্তু হঠাৎ এক বিকালে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলাম। এলাকার ফার্মেসি থেকে অক্সিমিটার কিনে আনা হলো। মাগরিবের পর অক্সিমিটারে দেখা গেল spo2% 70 - 80 দেখাচ্ছে!
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ আত্মীয় চিকিৎসককে গিন্নি ফোন করে পুরো ঘটনা জানালেন। তিনি একটুও দেরি না করে হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশনা দিলেন। বাড়ির কাছের দেশের অন্যতম সেরা প্রাইভেট হসপিটালটিতে গেলাম। যাওয়ার সাথে সাথে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে দেয়া হলো। তিন ঘন্টা রক্তের নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা, ইসিজি, এক্স-রে করা হলো। সিদ্ধান্ত হলো ICU তে ভর্তি হতে হবে কিন্তু এই হসপিটালের করোনা ইউনিটে কোন ICU খালি নাই।

যাই হোক এই ইমার্জেন্সিতে ইতোপূর্বে অনেক আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে এসেছি আমি, সেসব ক্ষেত্রে এইটুকুর জন্য যে পরিমাণ বিল করা হয় আজ আমার বেলায় প্রায় দ্বিগুণ বিল করা হলো; কারণ হয়তো আমি সন্দেহভাজন করোনা রোগী! ধানমন্ডি এলাকায় বসবাসকারী আত্মীয়দের বলা হলো ICU খুঁজতে। কিছুক্ষণের মধ্যে এক ডাক্তার আত্মীয় জানালেন একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে একটিই মাত্র ICU খালি আছে এবং তিনি সেটি বুকিং কনফার্ম করেছেন। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে করতে অক্সিজেন সাপোর্টেড এম্ব্যুলেন্সে রওনা হলাম সেদিকে।

পৌঁছানোর সাথে সাথে ICU তে ঢুকিয়ে ১৫ লিঃ অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা (রক্ত নেয়া, ইসিজি, ইকো, এক্স-রে) শুরু হয়ে গেল। হাতে ক্যানোলা করে স্যালাইন, স্যালাইনের মধ্যে নানান ইঞ্জেকশন, মাসলে ইঞ্জেকশন, নাভীর পাশে ইঞ্জেকশন আরো কতো কি!

অবস্থা কিছুটা স্বস্তিকর হলে উঠলে রাতের খাবার এলো। নার্স মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো নিজে হাতে কি খেতে পারবেন বাবা? নাকি আমি খাইয়ে দিবো। নিজের হাতে খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম৷ কিন্তু শুরুতেই হাত কেঁপে উঠলো! মেয়েটি পরম যত্নে খাইয়ে দিল। কয়েকটি ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল খাইয়ে ঘুমের পরামর্শ দিয়ে বললো, "আমরা আপনার পাশেই আছি। চিন্তা বা ভয় করবেন না।" শরীরে এতো কিছু লাগানো যে ঘুমাবার মত স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। তারপরও কখন যেন ঘুমিয়েও পড়েছিলাম। সকালে সিটিস্ক্যান হলো, কোভিড ১৯ টেস্টের জন্য স্যাম্পল নেয়া হয়। প্রধান চিকিৎসক সব দেখেশুনে ঘোষণা করলেন ফুসফুসের ৭০% আক্রান্ত এবং নিউমোনিয়া শুরু হয়েছে, তবে ভয়ের কিছু নাই কারণ আপনার ইমিউনিটি অনেক ভাল আছে। সকালের নাস্তা নিজের হাতেই সারলাম এবং হসপিটালে পুরো সময়টাতে নিজের খাওয়া নিজের হাতের করেছি। আলহামদুলিল্লাহ।

প্রথম দিন অতিবাহিত হলো। হসপিটাল কর্তৃপক্ষ লাইভ সাপোর্ট লাগবে বলে ঘোষণা দিয়ে স্ত্রীর কাছে অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর চাইলেন। ভাইদের সাথে পরামর্শ করে তিনি সময় চাইলেন।

(প্রথম পর্ব শেষ) ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়