লিহান লিমা: [২] মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হাসপাতাল থেকে ফেরার পর টুইটে বলেছেন, ২০ বছর আগে যেমন সুস্থ ছিলাম তার চেয়েও ভালো বোধ করছি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ট্রাম্প যে চিকিৎসা পেয়েছেন তা বিশ্বের অন্য যে কোনো আক্রান্তের চাইতে বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সিএনএন
[৩] গত শুক্রবার ট্রাম্পকে হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই বৃহস্পতিবার তিনি পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি থেরাপি পেয়েছেন, যা শরীরে করোনাভাইরাসের সক্ষমতা কমায় বলে ২৭৫ জন রোগীর ওপর চালানো পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে। তবে এই চিকিৎসা মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ সংস্থা(এফডিএ) জরুরী ব্যবহারের জন্যও অনুমোদন দেয় নি।
[৪] মহামারীবিদ ডা. সীমা ইয়াসমিন বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট। করোনায় প্রাণ হারানো ২ লাখ ১০ হাজার মার্কিনি তার মতো এতো তড়িৎ ও উন্নত চিকিৎসা পান নি।
[৫] পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি থেরাপি ছাড়াও ট্রাম্পকে রেমডিসিভির ও ডেক্সামেথাসন দেয়া হয়েছিলো। রেমডিসিভির রোগীতে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে ও ডেক্সামেথাসন রোগের প্রদাহ কমায়।
[৬] জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক ডাক্তার জোনাথন রেইনার বলেন, এই পৃথিবীতে ট্রাম্পই সম্ভবত একমাত্র ব্যক্তি যাকে নানা ধরনের ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। রেইনার আরও বলেন, ‘ট্রাম্পের ফিজিশিয়ানরা তার জন্য তিন ধরনের থেরাপিই জরুরি মনে করেছেন, এর মানে তিনি ঝুঁকিতে ছিলেন।’
[৭] ট্রাম্পের ফিজিশিয়ান ডাক্তার সিয়ান কনলি বলেন, তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মেডিকেল সেবার তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
[৮] হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেলি ম্যাকেনলি বলেন, ট্রাম্প আমেরিকার সবচেয়ে বেশি টেস্ট করা ব্যক্তি। অর্থাৎ তার রোগ অন্য কারো চেয়ে দ্রুত শনাক্ত হয়েছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান