বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] কোভিডে দেশের অর্থনীতি যাতে চালু থাকে তার জন্য সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে বেশ কিছু ঋণ উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য বেতন প্যাকেজ, মালিকদের জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিট্যাল ঋণ, কৃষকদের জন্য বিশেষ প্রণোদণা ঋণ। যার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক বেপজা বেজা ও আইটি পার্কের বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্যও এই সুবিধা প্রদান করেছে।
[৩] এই বিশেষ ঋণগুলোর সুদের অর্ধেক বহন করবে সরকার। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিলেও গ্রহীতা দিবে সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ সুদ বাকিটা দেবে সরকার। এই বিশেষ সুবিধা থাকবে ১ বছর।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকসূত্রে জানা যায়, সরকার বিপুল পরিমাণ ঋণ ঘোষণা করলেও প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ নিতে পারেনি। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান ঋণ নিতে আগ্রহী হলেও ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদান করেনি। ফলে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের অনেক শর্তই সংশোধন করতে হয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রণোদনা প্যাকেজের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
[৫] অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, দেশের জিডিপির ৬০ শতাংশই আভ্যন্তরীণ বাজার নীর্ভর। আভ্যন্তরীণ বাজার চালু না হলে সুদ যত কমই হউক কোন প্রতিষ্ঠান ঋণ নিবে না। আবার আভ্যন্তরীণ বাজারের বড় ক্রেতা সরকার। সরকারের এডিপির বাস্তবায়ণ মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং দোকানপাট খোললেও অর্থনীতি উদ্ধার হয়নি। তাই ঋণগুলো বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়ার সিদ্ধান্ত ভাল উদ্যোগ। তাতে দেশি কর্মচারিদের হাতে টাকা যাবে।