রাহুল রাজ : [২] আজ বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার সালমা খাতুনের ৩০তম জন্মদিন, ১৯৯০ সালের ১লা অক্টোবর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি, জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল, দেশসেরা এই প্রমীলা অলরাউন্ডার ব্যাটে বলে পারফর্ম করে দলকে নিয়মিত সাফল্য এনে দেবেন,এই প্রত্যাশা রইল।
[৩] গোলপাতার ছোট্ট ঘরে জন্ম। এখানেই বেড়ে ওঠা। বিধবা মা আর চার ভাইবোনকে নিয়ে নানা বাড়িতে উঠেন। কয়েকটি বাঁশের উপর সুন্দরবন থেকে আনা গোলপাতার ছাউনি। দুঃখ আর কষ্ট ছিল তাদের সঙ্গী। কিন্তু ক্রিকেট বদলে দিয়েছে তাদের জীবন। গোলপাতার ছাউনি ঝেড়ে ফেলে সেখানে এখন উঠেছে পাকা বাড়ি। সুখ এখন হাতের মুঠোয়। এ কাহিনী ক্রিকেট রাণী সালমা খাতুনের।
[৪] তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সালোয়ার কামিজ পড়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। ভাবিনি কোনো দিন এই ক্রিকেট থেকে বদলে যাবে আমার জীবন। খেলে টাকা পেয়েছি, তা দিয়ে নানীর দেয়া জমিতে এখন আমাদের পাকা বাড়ি। এখন স্বপ্ন একটা গাড়ি হবে। সেই গাড়িতে মাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবো। দেশের নারী ক্রিকেটের জাগরণের সঙ্গে বদলেছে আমার জীবনও। শুধু আমার কেন! আরো অনেকের। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ভাইদের দেখে অনেকেই ক্রিকেটে আসে।
[৫] এখন শুনি আমাকে দেখেও অনেক মেয়ে ক্রিকেট খেলছে। ভাবতেই ভালো লাগে আমার মতো সালমা খাতুনের ভক্ত আছে। আমাকে দেখেও অনেক মেয়ে ক্রিকেট খেলতে আসে।’
[৬] বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট জাগরণের প্রেরণা সালমা খাতুন। ১১ বছর ধরে তার জীবনের সঙ্গে বদলে গেলো এই দেশের নারী ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার চিত্রও। তার দলের হাত ধরেই এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা। এরপর এসএ গেমসে স্বর্ণ, দুটি বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের ট্রফি।
[৭] সর্বশেষ এবছর শুরুতে ভারতের মাটিতে চারদলীয় টুর্নামেন্টে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সালমার দল। এক সময় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এখন শুধু টি-টেয়েন্টিতে। কিন্তু এই সাফল্যের কারিগরের জীবনটাও কেটেছে অসহনীয় এক সংগ্রামে। যা শুনে হয়তো চোখে আসবে জল, আবার আনন্দে ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠবে হাসির রেখাও।