মোতাহার খান: [২] গাজীপুরের শ্রীপুরে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালটির মালিক কর্তৃক এক তরুণী শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত ওই তরুণী গাজীপুর সদর উপজেলার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক (২০)।
[৩] গত ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ধলাদিয়া এলাকায় ধর্ষণের ঘটনার ছয় দিন পর গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী।
[৪] এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে অভিযুক্ত ধর্ষক ডা. নূরুল ইসলাম শেখকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৫] অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম শেখ রাজেন্দ্রপুর এলাকার বাংলাদেশ-নরওয়ে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। তিনি মৃত আবদুর রহমান শেখের ছেলে।
[৬] মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি-কাশি ও শরীর ব্যথা নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান তরুণীটি। ডা. নূরুল ইসলাম শেখ তাঁকে কোনো ব্যবস্থাপত্র না দিয়ে রক্ত ও মূত্র পরীক্ষার জন্য বলেন। তা দেওয়ার পর কোনো কাগজপত্র না দিয়ে পরদিন রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে তাঁকে চলে যেতে বলেন। পরদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডা. নূরুল ইসলাম তাঁর কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে পাঠান।
[৭] দ্রুত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে যেতে বলেছেন বলে জানানো হয়। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে সড়কে উঠতেই কালো রঙের একটি পাজেরো ব্র্যান্ডের গাড়ি দেখেন তিনি। ওই গাড়িতে ডা. নূরুল ইসলাম শেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুই থেকে তিন ব্যক্তিকেও দেখেন তিনি। সেখানে ওই চিকিৎসক তাঁকে জানান পরীক্ষার জন্য দেওয়া রক্ত ও মূত্র নষ্ট হয়ে গেছে। তা আবার দিতে হবে। পরে তাঁকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে না গিয়ে পাশের ধলাদিয়া এলাকায় ওই চিকিৎসকের বাগানবাড়িতে নিয়ে যান। কুমতলব বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। পরে শ্বাসরোধে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন তাঁকে। ধর্ষণের পর তা প্রকাশ করলে তাঁকে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলবেন বলেও হুমকি দেন ওই চিকিৎসক।
[৮] শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি