ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: [২] নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিনের মাথায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কলেজ ছাত্র সুজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
[৩] বৃহস্পতিবার রাতে হাজামপাড়া গ্রামের ধান ক্ষেতের বোরিং এর ভেতরে মাটি খুড়ে সেখান থেকে কলেজ ছাত্রের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
[৪] জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার আউশিয়া গ্রামের সুজন (২০) নামের কলেজ ছাত্র ৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলো। তাকে কুপিয়ে হত্যা শেষে মরদেহটি মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সে মালয়েশিয়া প্রবাসি আউশিয়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।
[৫] পুলিশ জানায়, পাওনা টাকা আনতে গিয়ে বাড়ি না ফেরায় শৈলকুপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলো সুজনের পরিবার। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাকিব ও নাজমুল নামে দুই জনকে আটক করেছে। সাবিক আটকের পর থেকে তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
[৬] নিখোঁজ সুজনের চাচা রফিকুল ইসলাম রবি জানান, রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুজন সার আনতে আউশিয়া বাজারে যায়। বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় পাওনা ৮শ’ টাকা নেওয়ার জন্য জনৈক রাকিব মোবাইল করে। রাকিব সে সময় সুজনকে রাকিবের ছোট ভাই সাকিবের মোটরসাইকেলে চলে আসার জন্য জানালে চায়ের দোকান থেকে সুজন সাকিবের মোটরসাইকেলে চলে যায়। বাজারের অনেকেই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। সেই থেকে ৪ দিন ধরে সুজন নিখোঁজ ছিলো। তবে কি কারনে তাকে হত্যা করে গুম করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
[৭] এদিকে সুজন নিখোঁজের ঘটনায় সাকিবকে আটক করা হলে তার ভাই রাকিব এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :