স্বপন দেব: [২] মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আবারো রাতের বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সংরক্ষিত এলাকা থেকে ট্রান্সফরমার খুলে লক্ষাধিক টাকার তামার তার চুরি হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ ৫জনকে আসামি করে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[৩] সংরক্ষিত এলাকায় সবসময় প্রহরী, নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কন্ট্রোল ম্যান ও সিসি ক্যামেরা থাকার পরও বার বার চুরির ঘটনা ঘটায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগ সাজুস ছাড়া কিভাবে এধরনের সংরক্ষিত এলাকার চুরি হচ্ছে।
[৪] পিডিবি’র দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সংরক্ষিত এলাকার সীমানা প্রাচীর নিচের মাটি খুঁড়ে গত শুক্রবার রাতে ১০০ কেভি এর একটি ট্রান্সফরমার খুলে এর ভিতর থাকা তামার তার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। যার আনুমানিক মূল্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা। ওই রাতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কন্ট্রোল ম্যানের (এসবিএ) দায়িত্বে ছিলেন শহিদুল আনোয়ার ও ওই এলাকার প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন মো. রাসেল মিয়া। এছাড়াও বিদ্যুত অফিসের ওই এলাকা সিসি টিভি ক্যামেরার আওতাভূক্ত।
[৫] এছাড়া ২০১৯ সালের শেষে ওই এলাকা থেকে এক মাসের ভিতর পাঁচবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। সে সময়ও কয়েক লক্ষাধিক টাকার বৈদ্যুতিক তারসহ মূল্যবান বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চুরি হয়। সেই ঘটনায়ও পিডিবি কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দায়ের করলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পুলিশ চুরিতে জড়িত থাকায় বিদ্যুত অফিসের স্টোর কিপার ও নিরাপত্তা প্রহরীকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে।
কুলাউড়া পিডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এসব চুরির ঘটনায় পিডিবির কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে একটি চক্র বিদ্যুৎ অফিসের সংরক্ষিত এলাকা থেকে একাধিকবার চুরি করছে। কোটি কোটি টাকার মূল্যবান বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ রয়েছে ওই এলাকায়। উক্ত এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অপকর্ম ঢাকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দূর্বলতার অজুহাত দার করছে পিডিবির কর্তৃপক্ষ।
[৭] কুলাউড়া থানার এস আই ও ওই চুরির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সনক কান্তি দাশ বলেন, চুরির ঘটনায় কুলাউড়া বিদ্যুত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৮] সংরক্ষিত এলাকায় চুরির বিষয়ে জানতে কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই আরেফিন এর মোবাইলে অনেকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :