সালেহ্ বিপ্লব: [২] এটাই প্রমাণ করতে চাইছেন ব্রিটেনের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জেইন গ্রিভেস। তিনি এবং তার জোতির্বিদ টিম শুক্রের মেঘে, গ্রহটির উপরিতল থেকে ৫০ কিলোমিটার উপরে ফসফাইন গ্যাসের সন্ধান পেয়েছেন। আর এই ফসফাইন থাকে জলচর প্রাণীর শরীরে থাকা অণুজীবের শরীরে। প্রফেসর নিজেই প্রশ্ন করছেন, প্রাণী যদি না থাকে, তাহলে গ্যাসটি এলো কোথা থেকে? তাদের অনুমান, নিদেনপক্ষে অণুজীব আছে শুক্র গ্রহে। বিবিসি
[৩] প্রফেসরের টিম শুক্রের অণুজীবগুলোর কোনো নমুনা আনতে পারেনি। ছবিও নয়। তবে তারা শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহটির ঘন বায়ুমণ্ডলে ফসফাইন গ্যাসের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস
[৪] গ্যাসটির কারণেই প্রাণের অস্তিত্ব এক অসাধারণ সম্ভাবনা হয়ে বিজ্ঞানীদের সামনে এসেছে। তারা বার বার বিশ্লেষণ করে এটাই বলেছেন, জীবাণু আছে বলেই ফসফাইন রয়েছে সেখানে। পৃথিবীর অভিজ্ঞতায় যেটা সত্য, অণুজীবের মাধ্যমেই গ্যাসটি জন্ম নেয়। পেঙ্গুইনের মতো প্রাণীর শরীরে ওইসব জীবাণু থাকে। নিউ সায়েন্টিস্ট, টিবিএস নিউজ
[৫] প্রফেসর জেইনের টিম মেম্বার, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির গ্রহবিজ্ঞানী সারা সিগার এসব বৃত্তান্ত নিয়ে দুটি নিবন্ধ লিখেছেন। একটি ন্যাচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে, অন্যটি দিয়েছেন অ্যাস্ট্রোবায়োলজি জার্নালে। তিনি বলেন, শুক্রে অণুজীব থাকার এই বিষয়টি অবাক করার মতো, অপ্রত্যাশিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস
[৬] তবে বরাবরের মতোই বিজ্ঞানীদের একটি দল এতো সামান্য প্রমাণ দেখে আবিষ্কার মানতে নারাজ। তাদের নারাজি কাটাতে হলে শক্ত প্রমাণ নিয়ে আসতে হবে প্রফেসর জেইন ও তার টিমকে। তারা সে লক্ষ্যে গবেষণা চালু রেখেছেন। টিবিএস নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :