রাশিদুল ইসলাম : [২] ‘মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভলপমেন্টস ইনভলভিং দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়না ২০২০’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশে অস্ত্রশস্ত্র বসাচ্ছে চীন। ওই দেশগুলিতে সেনা ঘাঁটি বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। ওই কাজে সফল হলে অনেক দূরের দেশেও সামরিক আঘাত হানতে পারবে চীন। বছরে এধরনের প্রতিবেদন একবারই দেয় যুক্তরাষ্ট। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিবুতিতে চীনের সেনা ঘাঁটি রয়েছে। চীনের গণপ্রজাতন্ত্র এখন অন্যান্য কয়েকটি দেশেও বিমান সেনা, নৌসেনা ও পদাতিক সেনার ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কেনিয়া, সেশেলস, তানজানিয়া, অ্যাঙ্গোলা ও তাজকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি বানাবে।
[৪] রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীন এখন ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পে পাকিস্তানে বন্দর বানাচ্ছে। সেখান দিয়ে তেলের পাইপলাইন নিয়ে যেতে চাইছে। এইভাবে তারা মালাক্কা প্রণালীর ওপরে নির্ভরতা কমাতে চায়।
[৫] আরো বলা হয়েছে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে চীন। রাশিয়া, পাকিস্তান এবং অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশন (আসিয়ান) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বেইজিং। এর ফলে আগামী দিনে চীন অন্য দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালাতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :