সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বারবার সতর্ক করেছি। কেউ কথা কানে নেয়নি। সবাই নিজের মত করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। তাই এখন থেকে জরিমানার মাধ্যমে সকল অনিয়মের জবাব দেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এখনও যারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন তাদের প্রতি অনুরোধ প্লিজ ভালো হয়ে যান।
[৩] তিনি বলেন, আমাকেতো ৩২ লাখ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করতে হচ্ছে। আমিতো এমন দুর্ভোগ সহ্য করবো না যা আমার নাগরিকদের ভোগায়। নাগরিকদের স্বার্থে এখন থেকে আমি কঠোরভাবে এসব মনিটরিং করবো।
[৪] সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সড়ক ও ফুটপাতসহ বেদখল হওয়া জায়গা উদ্ধারে মাঠে নামেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। গুলশান-২ এর ৮৬ নং রোডে একটি ভ্রাম্যমাণ টিম নিয়ে হাজির হন তিনি।
[৫] সেখানে গিয়ে দেখতে পান, ওই রোডে একটি নির্মাণাধীন ভবনের কাজের জন্য ফুটপাত দখল করে রড রাখা হয়। সেখানে উপস্থিত নির্মাণাধীন ভবনের তত্ত¡বধায়ক কাউকে না পেয়ে প্রথমে নিলামের ডাক দেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া। নিলামে খবর শুনে সেখানে ছুটে আসেন সাইট ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি। এ সময় কর্মকর্তারা তাকে ভৎর্সনা করেন। সেই সঙ্গে ফুটপাতে রড রাখার দায়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
[৬] এরপর ফুটপাতে থাকা রডসহ যাবতীয় মালামাল পরে স্পট নিলামে তুললে এতে পাঁচজন অংশ নেন। এর মধ্যে মাহমুদ মোল্লা নামে একজন রড কাটার মেশিনসহ সব রড ৪৯ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। সঙ্গে ট্যাক্স ভ্যাট বাবদ আরও ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব