রাশিদুল ইসলাম : [২] ‘মেলানিয়া এন্ড মি : দি রাইস এন্ড ফল অব মাই ফ্রেন্ডশিপ উইথ দি ফার্স্ট লেডি ’ বইতে মার্কিন ফার্স্টলেডির সাবেক উপদেষ্টা স্টেফানি উইন্সটন এ দাবি তুলে বলেছেন হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন মেলানিয়া ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেন। মেলানিয়ার সঙ্গে ১৫ বছরের বন্ধুত্বের দাবি করে স্টেফানি বলেন তার সঙ্গে আমার সম্পর্কের উত্থান-পতন ঘটে। স্পুটনিক/ওয়াশিংটন পোস্ট
[৩] এক সাক্ষাতকারে স্টেফানি বলেন ট্রাম্পের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে মেলানিয়ার ওই ইমেইল এ্যাড্রেসটি সংযুক্ত ছিল। স্টেফানি দীর্ঘদিন মার্কিন ফার্স্টলেডির অবৈতনিক উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি বলেন মেলানিয়া ও আমি কখনো হোয়াইট হাউজের অফিসিয়াল ইমেইল ব্যবহার করিনি।
[৪] ২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হন স্টেফানি। হোয়াইট হাউস থেকে তিনি ও মেলানিয়া ব্যক্তিগত ইমেইলে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডির সিডিউল, সরকারি নিয়োগ, সেরা উদ্যোগ, প্রেসিডেন্ট ইনঅগারেশনের অর্থায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন।
[৫] নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারের জন্যে স্টেফানিকে বরখাস্ত করা হয় যা তিনি তাকে বাসের নিচে ফেলে দেয়ার সাথে তুলনা করেন।
[৬] হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ইমেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প কন্যা ইভানকা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার, বাণিজ্যসচিব উইলবার রসের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হয়।
[৭] ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি সরকারের অনেক গোপন নথি ব্যক্তিগত ইমেইলে আদান প্রদান করেছিলেন।