অজয় দাশগুপ্ত: ছেলেটির গল্প পড়ে চোখ ভিজে গেছে আমার। ঢাকার বাসে ছেলেটি সিটে বসা মানুষদের কাছে গিয়ে গিয়ে একটি করে টুথ ব্রাশ কেনার জন্য মিনতি জানাচ্ছিল। অনেকক্ষণ ধরে দেখতে থাকা এক ভদ্রলোকের মনে দোলা দেয় ঘটনাটি। তিনি নীরবে সব দেখতে দেখতে একসময় ছেলেটিকে ডেকে পাশে বসান। তার চেহারা পোশাক আদব কায়দা দেখে তিনি নিশ্চিত যে, এই তরুণ বা বালকটি সহজাত হকার কেউ না। এটা তার পেশাও না। ভদ্রলোকের সহৃদয়তা আর ভালোবাসায় মুগ্ধ ছেলেটি জানালো বাধ্য হয়ে টুথব্রাশ ফেরি করছে সে। তার পিতা একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। আজ কয়েক মাস স্কুলে যেতে পারছেন না, এখন বেতন প্রায় বন্ধ। যা কয়েকটা প্রাইভেট পড়ানো তাও চুকে গেছে করোনায়। না পারছেন সংসার চালাতে না হাত পাততে। সংসারের এই ভয়াবহ সংকটে ছেলেটি বেছে নিয়েছে সৎ ভাবে হকারি করে বাড়তি আয়ের এই পথ।
এতে কিছু হলেও সাশ্রয় হচ্ছে তাদের। আপনি আমি আমরা সবাই জানি, যারা শিল্পী, যারা লেখক সাংবাদিক বা যন্ত্রশিল্পী তাদের অবস্থা ভয়াবহ। সংকটে আছেন শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষ। না তারা পারছেন হাত পাততে, না পারছেন বেঁচে থাকতে। সবাই মিলে পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি লুটেরা ডাকাতদের টাকার ভাগ কী বন্টন করা অসম্ভব। সরকারের ভেতর যারা এসব বিষয় দেখভাল করেন। তারা কী ডিজিটাল ভাষণ ছেড়ে এদিকে মন দেবেন এবার। আহা রে বালক, দুঃখী বালক তোর মঙ্গল হোক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :