শিরোনাম
◈ একের পর হামলা-হত্যাকাণ্ড, আস‌ছে ছাত্রদের বি‌ক্ষোভ,  ‌বেসামাল দেশ, প্রশাসন নির্লিপ্ত কেন?  ◈ দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে নির্বাচনের পথে বিএনপি ◈ স্প‌্যা‌নিশ লা লিগায় বার্সেলোনার টানা সপ্তম জয় ◈ ইউ‌রো‌পীয় ইউ‌নিয়ন বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে পা‌শে থাক‌তে আগ্রহী ◈ চলতি বাজেটে রাজস্ব খাতে বরাদ্দ বাড়ছে, আগামী বাজেটের রূপরেখা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার ◈ খুনিকে দ্রুত জীবিত গ্রেপ্তার চাই, বন্দুকযুদ্ধের নাটক দেখতে চাই না: ইনকিলাব মঞ্চ ◈ আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের দাপট, গোল্ডসহ ১১ পদক অর্জন ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দেননি. ইনকিলাব মঞ্চ কর্মসূচি দেবে সোমবার ◈ হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সেই ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন ◈ বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাংক কিনতে চীনকে প্রস্তাব, সহজ হবে লেনদেন, কমবে ডলারের চাপ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৪৯ সকাল
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কোম্পানি বিএসইসির নজরদারিতে

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘদিন পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। যে কারণে বাড়তে শুরু করেছে তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর। এই সুযোগে অস্বাভাবিকহারে বাড়তে দেখা যাচ্ছে কিছু দুর্বল ও ‘জেড ক্যাটেগরির’ কোম্পানির শেয়ারদর। যার বেশিরভাগ কোম্পানিতেই কারসাজিকারীদের ইন্দন রয়েছে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নজর এড়ায়নি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসই)। তাই এই ধরনের কোম্পানিগুলোকে নজরদারি রেখেছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। কোনো ধরনের অনিয়ম শনাক্ত হলেই যে কোনো সময় এসব কোম্পানির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে সংস্থাটি।

নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায়, সম্প্রতি কিছু কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। কোম্পানির আর্থিক অবস্থার বিবেচনায় কিংবা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানের হার কোনো বিষয়ের সঙ্গেই এভাবে দরবৃদ্ধির মিল নেই। এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। কোনো ধরনের সংবেদনশীল তথ্য ছাড়া যেভাবে এসব কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে তা সন্দেহজনক। তাছাড়া ঊর্ধ্বমুখী বাজারে আগেও কারসাজির ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে এসব কোম্পানিকে নজরদারিতে রাখা হযেছে। কারা এসব শেয়ার কেনাবেচা করছেন এবং কোন হাউস থেকে এসব লেনদেন হচ্ছে তার সবকিছুতে নজর রাখা হয়েছে। কারসাজি শনাক্ত হলে যে কোনো সময় এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং যে হাউস থেকে অস্বাভাবিক লেনদেন হচ্ছে তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

সাম্প্রতিক বাজার চিত্র লক্ষ করলে দেখা যায়, ৪২ কার্যদিবসের ব্যবধানে তালিকাভুক্ত ‘জেড ক্যাটেগরির’ কোম্পানি জিলবাংলা সুগারের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৩২ শতাংশ। ৪২ কার্যদিবসের মধ্যে এই শেয়ার ৩১ টাকা থেকে বেড়ে ১৬৫ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। খোদ কোম্পানির কর্তৃপক্ষও এভাবে দরবৃদ্ধির কারণ বলতে পারছেন না। তবে গুজব রয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে এবং এতে কোম্পানির লোকও জড়িত রয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে পারছে না। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই এই শেয়ারের দর বৃদ্ধি নিয়ে সবারই সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এদিকে একই সময়ে তালিকাভুক্ত জিকিউ বলপেনের শেয়ারদর বাড়তে দেখা গেছে ১৩৬ শতাংশ। ৪২ কার্যদিবস আগে এই শেয়ার লেনদেন হয় ৬৬ টাকায়। এরপর কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকহারে বাড়তে থাকে এই কোম্পানির শেয়ারদর। সর্বশেষ গতকাল এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায় ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সায়। ‘এ ক্যাটেগরি’তে থাকলেও এই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। সবশেষ আর্থিক বছরে এই প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লোকসান করে। বিগত তিন বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ ক্যাটেগরি’ ধরে রেখেছে কোম্পানিটি।

অন্যদিকে একই সময়ের ব্যবধানে তালিকাভুক্ত শ্যামপুর সুগারের শেয়ারদর বাড়তে দেখা গেছে ১৭৫ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে দুর্বল এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর ২৪ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৬ টাকায় উন্নীত হয়েছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সংবেদনশীল তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে ফুয়াং ফুড, অগ্নি সিস্টেম, অ্যাকটিভ ফাইনসহ আরও কিছু কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।

বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি কিছু কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধি আমাদের নজরে এসেছে। এখানে জিলবাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগারসহ আরও কিছু কোম্পানি রয়েছে। এসব শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে কি না সে জন্য এসব কোম্পানিকে নজরদারিতে রেখেছি আমরা।

একই বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিনিয়োগকারীরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেই জন্য আমরা পুঁজিবাজারের প্রতিটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে নিয়মানুযায়ী তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সব সময়ই সুযোগসন্ধানীরা সুবিধা নিতে চায়। এত বড় মার্কেটে এটা বোঝাও মুশকিল। তাছাড়া কারসাজি শনাক্ত হতে হতেও অনেক সময় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান। তাই এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদেরই বেশি সচেতন হতে হবে। তারা সচেতন হলে নিজেই নিজেকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন।

সূত্র : শেয়ার বিজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়