মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাকালে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। বেকার হয়েছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকে জমানো টাকা তুলছেন অধিকাংশ লোকজন। আবার অনেকে মহামারিতে নিজের হাতে টাকা রাখতেই পছন্দ করছেন। করোনাকালিন এপ্রিল থেকে জুন এ তিন মাসেই বেড়েছে ১৯ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা।
[৩] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জুন পর্যন্ত ব্যাংকবহির্ভূত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল এক লাখ ৫৪ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার কারণে মানুষের আয় কমেছে। অনেকে আবার চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। তারা তাদের জমানো টাকা ভাঙতে শুরু করেছেন।
[৫] তিনি বলেন, ব্যাংকে টাকা না রাখার প্রবণতা আমরাই তৈরি করেছি। এটা একদিন হয়নি। দীর্ঘদিন থেকে ব্যাংকগুলোতে যে অনিয়ম হচ্ছে তা মানুষের মাঝে একটা ভিতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে সুদহার। ব্যাংকগুলোর সুদহার দেখলে বুঝা যায় যে তারা মানুষের টাকা জমা রাখতে কিছুটা অনিয়া প্রকাশ করছে। এখন ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ দিচ্ছে।
[৬] সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন চার্জ কাটার পর আরো এক শতাংশ কমে যাচ্ছে। এখন মূল্যস্ফীতি চেয়ে যদি সুদ কম হয় তাহলে ব্যাংকে টাকা রাখা লোকসান। তাই মানুষ লাভজনক বিনিয়োগ খুঁজছেন। সব মিলিয়ে ব্যাংকে অর্থ জমানোর প্রবণতা কমেছে। তারা এখন অন্য খাতে বিনিয়োগে ঝুঁছে। এটা আমাদের জন্য খারাপ খবর।
[৭] এদিকে করোনার অর্থ সংকটে মানুষ ব্যাংকগুলোতে আমানত আগের চেয়ে কম রাখছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে চলতি বছরের জুন শেষে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে ও এই প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ১২ শতাংশের উপরে।