মাসুদ রানা: [২] টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দ্বিতীয় দফা ভয়াবহ বন্যায় সাধারন মানুষের জীজবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গেছে উপজেলার কাচাঁপাকা অধিকাংশ সড়ক। ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বন্যার পানি উঠে মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকার সাথে সরাসরি নাগরপুরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
[৩] এছাড়া ঢাকার সাথে যোগাযোগের নাগরপুর- মির্জাপুর ভায়া মোকনা সড়কেরও বিভিন্ন পয়েন্টে বন্যার পানি উঠে যোগাযোগে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মোট কথা টানা এক মাসের বন্যায় নাগরপুরের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। চলমান দীর্ঘমেয়াদি বন্যার পানিতে ডুবে আছে উপজেলার ১১ ইউনিয়ন। পানির স্রোতে কাঁচা-পাকা রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
[৪] খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যাওয়ায় কোরবানির ঈদের কেনাকাটার জন্যও মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় তারা তাদের গরু-ছাগল কোরবানির হাটে সহজে নিয়ে যেতে পারছে না। গরু ভর্তি ট্রাক সড়কের ভাঙ্গা অংশে এসে ফেসে যাচ্ছে। টানা বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় এ উপজেলার ৩ লাখ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
[৫] স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে উপজেলার গয়হাটা-সিংজোড়া সড়কের সেতু। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সিংজোড়া সহ আশপাশের ৪ গ্রামের সঙ্গে নাগরপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
[৬] পানিতে ডুবে থাকায় ও রাস্তা- ব্রীজ বিধ্বস্ত হওয়ায়, নাগরপুর-সহবতপুর, নাগরপুর-চৌহালী, নাগরপুর- সলিমাবাদসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
[৭] নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বন্যার পানিতে ডুবে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা, ১টি ব্রিজ ভেঙ্গে গেছে এছাড়া ৩টি ব্রীজ ভাঙ্গন হুমকীতে রয়েছে।
৮] উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দুর্গত এলাকার গ্রামীণ জনপদের ১ শত কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা, ২৩ টি ব্রীজ কালভার্ট ও ১/২ কিলোমিটার বাঁধ। সম্পাদনা: সাদেক আলী
