আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] যুক্তরাষ্ট্রে যখন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তখন প্রকাশ্যেই সে দেশের প্রধান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে হোয়াইট হাইজ। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলেছে, ‘হোয়াইট হাউজের বেশ কিছু কর্মকর্তা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে বেশ কয়েকবার ড. ফাউচি খুব আপত্তিকর কথা বলেছেন।’ সিএনএন
[৩] বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে একমত হননি ফাউচি। সেটিকে বিব্রতকর ব্যাপার বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউজ। এতে প্রেসিডেন্টে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
[৪] শুরুতে ড. ফাউচি নিজেও ভাইরাসটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেননি। তিনি মার্চের শুরুতেও বলেছেন, ‘চারিদিকে সবাই মাস্ক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা দেখতেও বিশ্রি লাগে।’ কিন্তু সময়ের সঙ্গে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ড. ফাউচি। তবে ট্রাম্প প্রায় আগের অবস্থানেই ছিলেন। বেশ কয়েকবার বিভ্রান্তিকর তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
[৫] হোয়াট হাউজের একটি সূত্র বলছে, ফাউচি ও ট্রাম্প একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি বিশ্বের সেরা ্যাালার্জি চিকিৎসকের চেহারা পর্যন্ত দেখতে চাননা মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
[৬] ৬ জন আলাদা আলাদা প্রেসিডেন্টর সঙ্গে বিভিন্ন মহামারী মোকাবেলায় কাজ করেছেন ফাউচি। এর আগে কখনও তাকে কোনও প্রেসিডেন্টের প্রকাশ্য সমালোচনা করতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি এক স্বাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেন, ‘যখন আপনি যুক্তরাষ্ট্রকে কোন দেশের সঙ্গে তুলনা করবেন, আপনি বলতে পারবেন না আমরা অসাধারণ করছি। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ৯৯ শতাংশ করোনা রোগীর কোনও ঝুঁকিতে নেই। আমি জানিনা এসব উনি কোথায় পান। তবে আমি বলবো, বিজ্ঞান বিষয়ে যার তার কথা না বলাই ভালো।’ সম্পাদনা: ইকবাল খান