সমীরণ রায় : [৩] গত ১ জুলাই দেশের রাষ্ট্রীয় ২৫টি পাটকল বন্ধের ঘোষণায় কঠোর কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম দলগুলো। তারা বলছেন, সরকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটে বেপরোয়া হওয়ার কারণেই শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। সরকার প্রতারণামূলকভাবে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে। এই সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী, দায়িত্বহীন ও আত্মঘাতি।
[৪] বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো নিজেদের ও আমলাদের স্বার্থে ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আদমজী জুট মিল বন্ধ করা হয়েছিলো। একই কায়দায় ২৫টি রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধ করা হলো। সরকার সব খাতে প্রনোদনা দিয়েছে। কিন্তু পাট শিল্পে কেন ৫, ০০০ কোটি টাকা প্রনোদনা দিলো না?
[৫] বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে পশ্রয় দিয়ে পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন না করে যেভাবে লোকসান দেখানো হচ্ছে, তার দায়দায়িত্ব সরকার ও কর্মকর্তাদেরই বহন করতে হবে। সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধে বিএনপি-জামায়াতকেই অনুসরণ করছে ।
[৬] তিনি বলেন, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক এসব কারখানার সঙ্গে যুক্ত। করোনা দুর্যোগে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে সরকার শ্রমিককে এভাবে বেকার করে দিতে পারে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তে পরোক্ষভাবে লাভবান হবে ভারতের পাটশিল্প। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব