রাশিদ রিয়াজ : নারীর শরীরে ‘জি-স্পট’ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বিজ্ঞানীরা ফের দাবি করছেন এধরনের চরম পুলকিত হওয়ার কোনো কেন্দ্রের অবস্থান আদৌ নেই যা আছে তা হচ্ছে এটি হচ্ছে আদ্যিকালের ‘মিথ’ মাত্র। পুরুষরা যে এতকাল হন্য হয়ে নারীর শরীরে ‘জি-স্পট’এর অনুসন্ধানে ঘাম ঝরাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা বলছেন এর কোনো অস্তিত্বই নেই। অন্তত ৭০ বছর ধরে নারীর শরীরে একটি ছোট সংবেদনশীল অঞ্চলের কথা বলা হচ্ছে এবং এর খোঁজ করছেন পুরুষরা শক্তিশালী প্রচণ্ড উত্তেজনায় চরমানন্দলাভের জন্যে, গবেষণায় দেখা গেছে তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
পুরুষরা এখন এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করলেও পারেন। উদ্বেগজনক পর্যায়ে যেয়ে শুধু শুধু তা খোঁজ করতে বাড়তি পরিশ্রম করার কোনো প্রয়োজন নেই। জার্মানির গায়নোকোলোজিস্ট আর্নস্ট গ্রাফেনবার্গ সর্বপ্রথম নারীর শরীরে এধরনের স্পর্শকাতর অংশ খুঁজে দেখে চরম যৌনাভূতিলাভের পরামর্শ দেন। ১৭ জন মাঝবয়সী নারীকে পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এর কোনো অস্তিত্ব পাননি। বিজ্ঞানীরা এসব নারীর শরীর তন্নতন্ন করে খুঁজে তেমন কোনো স্পটের সন্ধান পাননি। যা আছে তা হচ্ছে স্নায়ুর একটি সমান বিতরণ মাত্র। নিউজার্সির রগার্স ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী বেরি কোমিসারুক বলছেন, এটি লিফটের বোতাম বা হালকা সুইচ নয় যে চাপ দিলেই আপনি চরমানন্দে চলে যাবেন।
ইস্তাম্বুলের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এর আগে জি-স্পটের ধারণা দেন যা অপর্যাপ্ত ও দুর্বল ছিল। আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২২ শতাংশ পুরুষ যৌন মিলনের সময় স্বস্তি পেতে জি-স্পটের সন্ধানের খোঁজ করেন যা তার আরাধ্য হয়ে দাঁড়ায়।
আপনার মতামত লিখুন :