ইসমাঈল ইমু : [২] দুই ব্যবসায়ী যৌথভাবে ফেব্রিক্স ব্যবসা করেন পুরোন ঢাকার হক মার্কেটে। গত মঙ্গলবার ব্যাংক থেকে ২৫ লাখ টাকা তোলেন ব্যবসায়ী জুয়েল ইসলাম মিঠু। সেখান থেকে তিনি এক লাখ টাকা পাওনাদারকে দেন। বাকি থাকে ২৪ লাখ টাকা দোকানের টেবিলের নিচে রাখেন এই ব্যবসায়ী। এরপর জোহরের নামাজ পড়বেন বলে মিঠু তার ব্যবসায়িক পার্টনার জাহিদুল ইসলাম রিপন ও দোকানের কর্মী ইমরানের জিম্মায় এই টাকাগুলো রেখে তিনি বাইরে যান।
[৩] কিছুক্ষণ পরে দোকানকর্মী ইমরান মিঠুকে ফোন করে জানান রিপন তাকে চা আনার জন্য পাঠালে তিনি বাইরে যান এবং চা নিয়ে দোকানে এসে দেখেন দোকানে রিপন নাই এবং দোকানে রাখা টাকাগুলোও নাই।
[৪] ডিএমপির কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, জুয়েল ইসলাম মিঠু টাকা চুরির খবর শুনে হতভম্ব হয়ে যান। এরপর তিনি কোতয়ালী থানায় একটা মামলা করেন।শুরুতে পুলিশের নানা কৌশল কাজে আসছিলো না। আসামী বারবার স্থান পরিবর্তন করছিলেন। কিন্তু থেমে থাকার পাত্র নন পুলিশের উদ্যমী ও তরুন এই কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযানে নামা পুলিশের দলটি।
[৫] পুলিশ জানায়, দুই দিন একটানা পরিশ্রম ও নানা কৌশল অবলম্বন করেন তারা। আসামীদের অবস্থান অনুসরন করে পুলিশ পৌছে যান খুলনায়। সেখানে গিয়েও পুলিশের এই দলকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। আসামী টাকা নেওয়ার কথা বারবার অস্বীকার করতে থাকেন। কিন্তু একজন অপরাধী যতই মিথ্যা বলুক আর কৌশল অবলম্বন করুক, পুলিশের কৌশলের কাছে তার সে চালাকি একেবারেই নস্যি।
[৬] চোরাইকৃত টাকাও।এরা হলেন জাহিদুল ইসলাম রিপন (৩৪), অহিদুর রহমান মিলন (২৬) ও আমিনুল ইসলাম (৩৫)। রিপন ও মিলন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।