স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :[২] জেলার কুলাউড়ার ভাটেরা ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের একটি টিলা থেকে সালমানের লাশ এক সপ্তাহ আগে উদ্ধার করে পুলিশ।
[৩] ওই হত্যাকান্ডটি এলাকাবাসী ও পুলিশের কাছে ছিলো অনেকটা রহস্যময়। কি কারণে, কারা ওই কিশোরকে হত্যা করেছে? বিষয়টি ভাবিয়ে তুলে পুলিশ প্রশাসনকে। শেষ পর্যন্ত হত্যার রহস্য উৎঘাটন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী।
[৪] হত্যাকারী তোরাব খাঁ পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তার টিলার একটি গাছের পাকা কাঁঠাল লুকিয়ে পেড়ে খাওয়ার কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে সালমান (১৫) নামের কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। নিহত সালমান জগতপুর এলাকার সাহাদ মিয়ার ছেলে।
[৫] পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তোরাব খাঁ (৫০)। ঘাতক তোরাব একই
উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের সিংহনাদ গ্রামের মৃত সুজন খাঁর ছেলে বলে পুলিশ জানায়।
[৬] সালমানকে হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে বুধবার (২৪ জুন) তোরাবকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
[৭] ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, সালমান ঘটনার দিন তোরাব খাঁ এর মালিকানাধীন টিলায় গিয়ে গাছ থেকে একটি পাকা কাঁঠাল পেড়ে খায়। তোরাব তা দেখতে পেয়ে সালমানকে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে। সালমান পালাতে গিয়ে অপর একটি টিলায় পড়ে যায়। তখন সে (তোরাব) লাঠি দিয়ে সালমানকে পেটাতে শুরু করে। লাঠির আঘাতে সালমানের নাক ও মাথায় গুরুতর আঘাত পায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু ঘটে। কিশোরের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে তোরাব টিলা থেকে সালমানের লাশ নিচে ফেলে সড়ে পড়ে।
[৮] তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ হত্যাকান্ডটি ক্লু লেস ছিলো। তবে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নানান কৌশল অবলম্বন করে মূল কারণ উদঘাটন করতে পেরেছি। তদন্তের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর স্যার ও ওসি ইয়ারদৌস হাসান স্যার আমাকে দিক নির্দেশনা দেয়ায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।’ সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন সকাল ১১ টার দিকে সালমান জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশের একটি টিলায় যায়। পরে সে আর ফিরে না আসায় তার পরিবারের অনেক খোঁজাখুজি করেন এবং পরদিন সকালে পাশের টিলায় সালমানের মৃতদেহ দেখে তার পরিবার। পরে তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের মা সালমা বেগম অজ্ঞাত নামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আপনার মতামত লিখুন :