সাইফুল আরিফ, মোহনগঞ্জ : [২] নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পৌরঈদগাহ মাঠের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হান্নান রতনের বিরুদ্ধে।
[৩] স্থানীয় সূত্র মতে, পৌরশহরের মাইলোড়া জামে মসজিদের সাথে লাগোয়া পৌরঈদগাহ মাঠ। এই মাঠের এক কোণে থাকা একটি বৃহৎ রেনট্রি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল হান্নান রতন ও সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আমিন। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে। হান্নান রতন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও খাইরুল আমিন যুব ও ক্রীয়া সম্পাদক পদে আছেন।
[৪] মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকালে সরেজমিন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা গেছে গাছের ডালপালাগুলো মাঠে পড়ে রয়েছে। গাছটি সম্প্রতি কাটা হয়েছে এমন চিহ্ন রয়েছে।
[৫] মোহনগঞ্জ পৌর মেয়র ওই গাছটিকে পৌরসভার বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
[৬] পৌর মেয়রের এ দাবি নাকচ করে দিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হান্নান রতন বলেন, ওই গাছটি মসজিদের জায়গায় পড়েছে। গাছের ডালপালাগুলো মসজিদের ছাঁদে পড়েছিল। সেকারণে বৃষ্টির পানিতে ছাঁদটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে নিয়ম অনুযায়ী রেজ্যুলেশন তৈরি করে সাব কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। গঠিত সাব কমিটি গাছটি কেটে বিক্রি করেছে। পৌর ঈদগাহ মাঠের জমির দলিল আছে। সন্দেহ থাকলে মেপে দেখার জন্যও তিনি বলেন।
[৭] মাইলোড়া মসজিদের মোয়াজ্জিন মাহমুদুল হাসান বলেন, গত দুই তিন দিন আগে মসজিদ কমিটির দায়িত্বে এই গাছটি বিক্রি করা হয় চৌদ্দ হাজার পাঁচশ টাকায়। তবে ওই টাকা মসজিদে খরচ করা হয়েছে কি না তা তিনি জানে না।
[৮] পৌর মেয়র লতিফুর রহমান রতন জানান, ওই গাছটি মসজিদের নয়, পৌরঈদগাহ মাঠের। এটির মালিক মোহনগঞ্জ পৌরসভা। গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়নি। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
[৯] উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে ঘটনা যদি সত্যি হয়, আর পৌর কর্তৃপক্ষ যদি আইনগত সহায়তা চায় তাহলে সহায়তা দেয়া হবে। সম্পাদনা : হ্যাপি