শিরোনাম
◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার ◈ ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটারে একটু দেইখেন’—বলে কেঁদেছিলেন হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২০, ০৬:১৪ সকাল
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২০, ০৬:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রবিউল আলম : রাজনীতির দুঃসাহসিক পুরুষ মোহাম্মদ নাসিম

রবিউল আলম : সকালে রাসেল স্কোয়ার হরতালের পিকেটিংয়ের যাদের মুখটা প্রথমেই দেখতে পেতাম মোহাম্মদ নাসিম ও মতিয়া চৌধুরীকে। কখনো তাদের আগে আসতে পারতাম না। ৪৮ নং ওয়ার্ড কমিশনার এমএ সাত্তার ভূঁইয়া পিকেটারদের জন্য প্রতিদিন খিচুরি আয়োজন করতেন, আমি, নুরুল হক ম-ল, আনিসুজ্জামান বাবুল খিচুড়ির বাজার করতে একটু দেরি হয়ে যেতো। নাসিম ভাই, মতিয়া চৌধুরী কখনো পিকেটিং থেকে সরে পড়তো না। পুলিশ অযথাই বারবার তেরে আসতো, ভয় দেখাতো। আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ও আলহাজ্ব মো. সাদেক খান বর্তমান ঢাকা ১৩ আসনের এমপির নেতৃত্বে বিশাল বিশাল মিছিল চলে আসলে পুলিশ আস্তে আস্তে নিরব হয়ে যেতো। কখনো মিছিলকারীরা উশৃঙ্খল হয়নি। বিএনপির মার্কা পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে কর্মীদের লাঠি পেটা শুরু করাতে নাসিম ভাই ও মতিয়া আপা পুলিশ ও কর্মীদের মাঝখানে অবস্থান গ্রহণ করেন।

পুলিশ সেদিন নির্দয় হয়ে প্রথমেই নাসিম, মতিয়াকে লাঠি পেটা শুরু করেন। মুহূর্তে রাসেল স্কোয়ার রণহ্মেত্রে পরিণত হয়ে গেলো। সাদেক খান, সাত্তার ভূঁইায়, মকবুল হোসেন সহ শত শত নেতা কর্মী আহত। নাসিম, মতিয়াকে এক ইঞ্চিও সরাতে পারেনি পুলিশ, রাস্তার উপর পরে আছেন। কিন্তু একজন পুলিশ ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি। নাসিম ভাই আজ আমাদের মাঝে নেই। নেই সাত্তার ভূইয়া, মকবুল হোসেন। আছে খিচুড়ির গল্প আওয়ামী লীগারদের মুখে মুখে। মায়া ভাই, নাসিম, মতিয়া চৌধুরীসহ এমন কেউ নেই খিচুড়ি খাননি। মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আপোস করবে বলতেন, আমি যদি তোমাদের সাথে বসে খিচুড়ি খেতে পারতাম। রাসেল স্কোয়ার থেকে নেত্রীর জন্য সুধাসদনে খিচুড়ি পাঠানো হতো। আন্দোলনের দিনগুলো যাদের মনে আছে, তারা কী নাসিম মতিয়া, হানিফ, মায়া, মকবুল, সাদেক খান, সাত্তার ভূঁইয়াদের কে ভুলতে পারবে। না ভুলতে পারবে গণতন্ত্র উদ্দার আন্দোলনে আত্মহুতিদান নূর হোসেন, বসুনিয়া, দেলোয়ারসহ অগুণিত দেশপ্রেমিক মুজিব সৈনিকদেরকে একজন নাসিম যদি বিএনপি-জামায়াত পাইতো, তবে কি বিরোধী রাজনীতির এই করুণ দশা জাতিকে দেখতে হতো, জনগণের স্বার্থের কথা না থাকলে, ছেলে আর সেনা নিবাসের বাড়ি রক্ষার জন্য গণআন্দোলন হয় না।

সকালে হরতাল, বিকালে গাড়ি জ্বালানো, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করার রাজনীতি বাংলাদেশ করতে হতো না। নাসিম ভাই কর্মীদের বুকে ধারণ করে রাখতেন। গাড়ি জ্বালানো, গাড়ি ভাঙার রাজনীতি বিশ্বাস করতেন না, জনগণ আপন ইচ্ছায় সাড়া না দিলে, কখনো আন্দোলন হয় না, জনগণের অধিকার জনগণ প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। দল ও ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কয়েকজনের গাড়ি পোড়ানো যাবে, গণআন্দোলনের রূপ নেবে না। এমন নেতা আমরা কোথায় পাবো, শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায় থাকা মানুষ। আল্লাপাক নাসিম, মকবুল,সাত্তার ভূঁইয়া, ধর্ম মন্ত্রী আবদুল্লাহ-সহ হারিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগারদের জান্নাতি করুন। যারা জাতির জন্য, দেশের জন্য, দলের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেলো। লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়