মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা, লকডাউন, শিল্প কারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের আয় কমে দারিদ্র নিরাপত্তায় আমাদের অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে সরকার চলতি অর্থবছরে দরিদ্র কর্মজীবি মানুষের কষ্ট লাঘবে ৫০ হাজার লাখ জনকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
[৩] বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন।
[৪] অর্থমন্ত্রী বলেন, সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলার দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এতে করে নতুন উপকারভোগী ৫ লাখ যোগ হবে। আর এ জন্য ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
[৫] তিনি বলেন, আলোচিত উপজেলাগুলোর দারিদ্র দুরিকরণের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। উপজেলাগুলোর বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে ভাতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এতে করে ৩ লাখ ৫০ হাজার জন নতুন উপকারভোগী যোগ হবে। আর এ জন্য ২১০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
[৬] মুস্তফা কামাল বলেন, নতুন করে ২ লাখ ৫৫ হাজার জন ভাতাভোগী প্রতিবন্ধীকে যোক্ত করে মোট ১৮ লাখ জন প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এর জন্য ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :