ডেস্ক রিপোর্ট : [২] পুলিশি হেফাজতে মারা যাওয়া মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা ছিল সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিনের। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন জর্জ ফ্লয়েড এবং ডেরেক চাওভিনের এক সময়ের সহকর্মী ডেভিড পিন্নে।
[৩] গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ হেফাজতে মারা যান জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। সেইদিনই পুলিশ তাকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিলো। জর্জকে গ্রেফতারের পর হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরেন ডেরেক চাওভিন নামের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়।
[৪] এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’ এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলে সহিংস আন্দোলন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মৃত্যুর প্রতিবাদ জানানো হয়।
[৫] জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার পর ডেরেক চাওভিনসহ তার তিন সহকর্মীকে পুলিশ বিভাগ থেকে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে চাওভিন মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট ওয়াক পার্ক হেইটস কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
[৬] ডেভিড পিন্নে এক সময় চাওভিন এবং জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরে এল নুয়েভো রোদেও নামক একটি নাইটক্লাবে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে পিন্নে বলেন, চাওভিন খুব উগ্র স্বভাবের একজন ব্যক্তি। ফ্লয়েড এবং চাওভিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো।
[৭] বন্ধ হয়ে যাওয়া এল নুয়েভো রোদেও নাইট ক্লাবটির মালিক মায়া সান্তামারিয়া বলেন, আমি ভাবতাম যে চাওভিন কৃষ্ণাঙ্গদের ভয় পায়।
[৮] এদিকে জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য থেকেই জর্জ ফ্লয়েডকে গত ২৫ মে আটক করেন পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন।
ইত্তেফাক, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :