সুজিৎ নন্দী : [৩] রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য, এনা প্রোপার্টিজসহ এনা গ্রুপের মালিক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে এসব অভিযোগ করেছেন শভা আয়েশা আক্তার লিজা।
[৪] তিনি আরো বলেন, এমপি এনামুলের লোকজন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলে দেয়া হবে এমন বলছেন। এবং গতকাল আমাকে বলেছেন, আমি গণমাধ্যমে এসেছি, তাই আমাকে আজ উনি ডিভোর্স দিবেন। সব মিলিয়ে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। তবে আমি প্রধানমন্ত্রী কাছে যাবো এবং এর বিচার চাইবো। আপনারা সকলেই আমাকে সহযোগিতা করেন।
[৫] এনামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, লিজার চাঁদাবাজি ও ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। পরে আইন অনুযায়ী তালাক দিয়েছি। দেনমোহর পরিশোধ করেছি। আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবো না? সমস্যা থাকলে সে কোর্টে যাবে।
[৬] শভা আয়েশা আক্তার লিজা সাংবাদিকদের বলেন, ২০১২ সালে এমপি এনামুল হকের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সূত্রপাত হয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তারা ধর্মীয় বিধিমতে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কারণে সামনের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সমস্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কায় তখন বিয়ে রেজিস্ট্রি করেননি। আট বছর লিজা এনামুল হকের রাজশাহী ও ঢাকার বাড়িতে থেকে সংসার করেছেন। তবে কোনোদিন বাইরের কারো সামনে তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেননি এনামুল। তিনি বিভিন্ন সময় নির্যাতনেরও শিকার হয়েছেন।
[৭] এক প্রশ্নের জবাবে আয়েশা আক্তার লিজা জানান, বিষয়টি জানতেন এনামুল হকের প্রথম স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরাও। এরপর ২০১৫ সালে লিজা গর্ভবতী হলে এনামুল হক তার বাচ্চা নষ্ট করান। তখন এনামুল হক তাকে আশ্বাস দেন, আবারো এমপি হতে পারলে বাচ্চা নেবেন এবং স্বীকৃতি দেবেন। সেজন্য আমি অপেক্ষা করছিলেন। কথামতো, ২০১৮ সালের ১১ মে তারা রেজিস্ট্রি করে আবারও বিয়ে করেন। কিন্তু এরপরও এনামুল স্বীকৃতি দেননি, বাচ্চাও নেননি।
[৮] লিজা আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের নামে সাংসদ এনামুল তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একজন এমপি আমাকে গোপনে বিয়ে করবেন কেন? গোপনে ডিভোর্স দেবেন কেন? আমি এমপি এনামুলের প্রতারণার বিচার চাই।
[৯] লিজা আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম। এরপর থেকেই আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছি। আমাকে মেরে ফেলতে পারে।
[১০] এ ব্যাপারে এমপি এনামুল হক বলেন, লিজা চাঁদাবাজি করার জন্যই এসব অভিযোগ করছে। আমার ছবি ফেসবুকে দিয়ে ব্লাকমেইল করেছে। চাঁদাবাজি করে রাজশাহীতে ৫ তলা বাড়ি করেছে। চরিত্রহীন একটা মেয়ে। অনেক চাঁদাবাজি করেছে। আমি শুনেছি সে আরো ৫-৬টা বিয়ে করেছে। গত ২৪ এপ্রিল ডিভোর্স দিয়েছি। লকডাউনের কারণে হয়তো চিঠি পায়নি, পেয়ে যাবে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :