আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] আপনি যথনই কোনও বিমানবন্দরে পৌঁছাচ্ছেন, আপনাকে একটি কাপে থুথু ফেলতে হচ্ছে, এবং আপনার ডিএনএ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কোনও শহরের প্রতিটি ফোনের তথ্য চলে যাচ্ছে অন্য কোথাও। কেউ সীমান্ত অতিক্রম করলেই সেই তথ্য চলে যাচ্ছে সরকারের কাছে। করোনাভাইরাস পরবর্তী পৃথিবীতে এগুলোই সম্ভবত স্বাভাবিক দৃশ্য হতে যাচ্ছে। সিএনএন, রয়টার্স
[৩] একসময় প্রাইভেসি ছিলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর তাপ অনেকটাই হারিয়ে ফেলে সাধারণ মানুষ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সরকারগুলোর অবাধ তথ্য সংগ্রহের কারণে তা একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
[৪] ব্যক্তিসতন্ত্রতা এবং স্বাধীনতার পক্ষে ক্যাম্পেইন চালানো ব্যক্তিরা বলছেন, বিশ্বের সবকল সরকার করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির ফায়দা নিতে চাইবে। নাই ইলাভেনের কারণে সূচনা হয়েছিলো দীর্ঘ সার্ভেইলান্স যুগের। করোনার কারণে তা চলে যাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে।
[৫] প্রায় সব দেশের সরকারই বিশেষ অ্যাপ ইন্সটল করতে বলেছে জনগনকে। উদ্দেশ্য হলো কেউ করোনা রোগীর কাছাকাছি গিয়েছেন কিনা তা জানা। এটি নিয়ে অনেক দেশেই তীব্র সমালোচনা চলছে। কারণ এতে নাগরিকের প্রতিটি পদক্ষেপ জানতে পারবে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :