ইকবাল খান: [২] ইউনিয়ন নেতারা বলছেন, বাড়িতে কাজ করতে না পারলে কর্মস্থলে যোগ দেয়ার তাগিদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন কর্মজীবি শ্রেণীকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
[৩] ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিয়ন ইউনাইট প্রধান লেন ম্যাকক্ল্যাসকি সরকার নিয়োগকারীদের জন্যে নির্দেশনা প্রকাশ না করা পর্যন্ত শ্রমিকদের প্রতি কাজে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অগ্রাহ্য করে বাড়িতে থাকার আহবান জানিয়েছেন।
[৪] বিরোধী লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিনসহ দলটির ১৭ জন এমপি এক পত্রে ইউনিয়নগুলোর সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জনসনের রোববারের ভাষণ অনেকটা শ্রেণীযুদ্ধ শুরুর সামিল।
[৫] ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রী অলক শর্মার কাছে পাঠানো এক পত্রে ছায়া ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রী মিলিব্যান্ড ও কর্মসংস্থান অধিকার বিষয়কমন্ত্রী ম্যাডোনাল্ড বাড়িতে কাজ করতে না পারলে কর্মিদের কর্মস্থলে যোগ দেয়ার সুপারিশে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
[৬] প্রধানমন্ত্রীর ১ জুন স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্যাটিক রোচ বিবিসিকে বলেছেন, সরকার একটা তারিখ ঘোষণা করেছে অথচ তারা এখন পর্যন্ত কোন পরিকল্পনা প্রকাশ করে নি কিভাবে স্কুলগুলোকে জীবাণুমুক্ত করে নিরাপদ করা হবে এবং শিক্ষার্থি ও স্কুল কর্মিদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে।
[৭] এবং সবশেষ কথা হচ্ছে শিক্ষার্থিদের পিতামাতা-অভিভাবকরা জানতে চাইবে কিভাবে স্কুলগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ করা হবে।