ফরিদ কবির : লেখালেখির বাইরে আরেকটা খ্যাতি আমার আছে। আমি খুবই আড্ডাবাজ। জীবনটা আমার এক অর্থে আড্ডাতেই ফুরোলো। সব ধরনের মানুষ, সব বয়সী মানুষের সঙ্গেই আমি আড্ডা দিতে পারি। সে লেখক-কবি বা শিল্পী হোক কিংবা সবজিওয়ালা বা রিকশাওয়ালা। সে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা হোক কিংবা শিশু-কিশোর। তবে আড্ডা দিতে বেশি ভালো লাগে কবি-লেখকদের সঙ্গেই। বুদ্ধিদীপ্ত নারীদের সঙ্গও আমার খুব পছন্দ। কিন্তু করোনা বাঙালি জীবনের সবচাইতে মধুর মুহূর্তগুলো কেড়ে নিয়েছে। আড্ডা ছাড়া বাঁচতে পারে এমন বাঙালি খুব কমই আছে। আমার নিজের মনটা আনচান করছে, এটা ভেবেই যে, কতোদিন আড্ডা দিই না। সিদ্ধার্থ হক, মঈনুল আহসান সাবের, তুষার দাশ, ফারুক মঈনউদ্দীন, মারুফুল ইসলামের সঙ্গে আড্ডাগুলোই বেশি মিস করছি। সেই আড্ডায় কখনো আশরাফ আহমদ, কখনো সুব্রত শংকর ধর, কখনো গোলাম ফারুক খান, কখনো, মাজহারুল ইসলাম, কখনো কামরুল হাসান শায়ক, কখনোবা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার উপস্থিতিও কতো না আনন্দের।
আমাদের আড্ডা বরাবরই সাহিত্যকেন্দ্রিক এবং পরচর্চাহীন। পরচর্চা ছাড়াই আড্ডাকে রসঘন করার জন্য অবশ্য জনা দুয়েকই যথেষ্ট। আমাদের যেমন আছেন মারুফুল ইসলাম ও মঈনুল আহসান সাবের। তারা একেকজন ‘একাই একশ’ টাইপ হলেও বাকিরা কেউ নব্বইয়ের কম নয়। তো করোনাকালে দূরত্ব বজায় রেখে আড্ডা দেওয়ার একমাত্র উপায় ভার্চুয়াল আড্ডা। প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশ প্রতিরাত ১০-১১টায় আয়োজন করতে যাচ্ছে এমনই একটি স্বতঃস্ফূর্ত আড্ডার। ফেসবুকে লাইভে আড্ডায় শামিল হতে পারেন আপনিও। আজ রাত দশটায় ‘পঞ্চকবির আড্ডায়’ থাকবো আমিও। আমি অবশ্য সবসময়ই থাকি শ্রোতার ভূমিকায়ই। কারণ আমাদের অন্য আড্ডারুরাই সবসময় মাইক দখল করে রাখে। আজও হয়তো তেমনই হবে। কী করা যাবে। ফেসবুক থেকে