ওমর ফারুক : [২] এমন অদ্ভুত নিয়মের পেছনে রয়েছে নির্মম ইতিহাস।
[৩] ১৯৯০ সালে গ্রামটি গড়ে ওঠে ১৫ জন ধর্ষিতা মহিলার উদ্যোগে। এই ১৫ জন মহিলা একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীকালে আশেপাশের এলাকা থেকেও সামাজিক ও পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হওয়া মহিলারা একে একে এখানে এসে বসবাস শুরু করেন। একুশে টেলিভিশন
[৪] ২০১৫ সালে এই গ্রামে বসবাসকারী মহিলারদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭-এ।
[৫]এই গ্রামের প্রত্যেক মহিলাই স্বনির্ভর। সকলে ক্ষুদ্র ও কূটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাদের তৈরি গয়না বর্তমানে সারাবিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
[৬] দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা ছুটে আসেন এই গ্রামে। শুধু মাত্র স্বনির্ভর মহিলাদের একটিবার দেখার জন্য।
[৭] পর্যটকদের থেকে পাওয়া প্রবেশমূল্য বাবদ পাওয়া অর্থকেও গ্রাম উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়।
[৮]প্রতিবছর নিয়ম করে এই গ্রাম পরিচালনার দায়িত্বভার পরিবর্তন করা হয়। প্রতিবছর ২ জন করে প্রতিনিধি গ্রাম পরিচালনা দায়িত্ব পান।
[৯] বর্তমানে শিশু-সহ মোট ৪০০ জনের বাস। ছোটদের পড়াশোনার দায়িত্ব থেকে সংসার চালানোর যাবতীয় ভার বয়ে চলেছেন গ্রামের মহিলারাই।