শিরোনাম
◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ◈ এ‌শিয়া কা‌পে ওমানকে হারা‌লো আরব আমিরাত ◈ বাংলাদেশ দলের বিরু‌দ্ধে আমা‌দের চ্যালঞ্জ নি‌য়ে খেল‌তে হ‌বে: আফগানিস্তান কোচ ◈ বাংলাদেশি পাসপোর্ট সহ টিউলিপের ট্যাক্স ফাইলের খোঁজ পেয়েছে এনবিআর ◈ জলদস্যুদের ধাওয়ায় ট্রলারডুবি: ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ১৮ জেলের জীবনরক্ষা

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ০৪:৫১ সকাল
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ০৪:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তমুজ নিয়ে বিপাকে পিরোজপুরের চাষিরা

রাজু আলাউদ্দিন :[২] করোনার কারণে তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পিরোজপুরের চাষিরা। গত বছরের তুলনায় এবার কম জমিতে তরমুজ চাষ হলেও ভালো ফলনে আশায় বুক বেঁধেছিলেন তারা। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে মাঠে তরমুজ কিনতে আসছেন না ক্রেতারা। তাই বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাষিরা।
[৩] খুব ভোরবেলা তরমুজ ক্ষেতে ছুটে যান তরমুজ চাষিরা। এরপর ঢেঁকিকল দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পা দিয়ে চেপে পানি তুলে সেচ দেন তরমুজ গাছে। পরিবারের সদস্যরা শরীক হন এ কাজে।  বর্তমানে তাদের শতাধিক বিঘায় পরিপক্ক তরমুজ, যেগুলো আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন। এ সময় চাষিদের মুখে আনন্দের হাসি থাকার কথা থাকলেও, তরমুজ বিক্রি নিয়ে সংশয় থাকায় মুখে হাসির পরিবর্তে রয়েছে বিষন্নতার ছাপ।
[৪] করোনা ভাইরাসের কারণে দূর দূরান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতারা পিরোজপুরে আসতে পারছেন না। এছাড়া সব সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাটগুলো বন্ধ থাকায় স্থানীয় পাইকারি ক্রেতারাও খুব একটা ভিড়ছেন না তরমুজ ক্ষেতে।  আর এতেই বেড়েছে চাষিদের দুশ্চিন্তা। এছাড়া চালিতাখালী গ্রামের মধ্য দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির অবস্থাও খুবই খারাপ। এতে বেড়েছে চাষিদের ভোগান্তি।
[৫] বিভিন্ন এনজিও, ব্যাংক ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষিরা সেই টাকা ব্যয় করেছেন তরমুজ চাষের জন্য। তবে তারা বলেন, এ বছর তরমুজ বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে তাদের।  তারা আরও বলেন, মাঠে তরমুজ থাকাকালীন বৃষ্টি কিংবা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না তাদের।
 [৬] পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মো. জাফর জানান, করোনার কারণে সারা বিশ্ব জর্জরিত। পিরোজপুরের তরমুজ চাষিরা এর বাইরে নয়। তবে তাদের তরমুজ বিক্রির ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
[৭] পিরোজপুর জেলায় এ বছর ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হলেও গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৩০০ হেক্টর। একটি পরিপক্ক তরমুজ ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন হয় আর প্রতিকেজি তরমুজ বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। সময় টিভি
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়