দীপু তৌহিদুল : করোনা আক্রান্তরা নাম ও অবস্থান প্রথম থেকেই গোপন করার পলিসি করা হয়েছিলো। গোপন করার পলিসিটারই নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশের লোকজন করোনা আক্রান্তদের এখন সামগ্রিকভাবে সব ক্ষেত্র হতে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে, চরম ঘেন্না করার পাশাপাশি। করোনা একটা রোগ ছাড়া আর কিছুই নয়, হ্যাঁ এটা কঠিন অসুস্থতা। পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশ এই গোপন করার কাজটি করেনি বলে তাদের মানবিক পারস্পরিক সাহায্য একের প্রতি অপরের জন্য রয়ে গেছে। লোকজন এতে করে আক্রান্ত হলে নিজেরাই প্রকাশ্য হচ্ছে। ট্যাবু খুব খারাপ কাজ, যেটাকে ট্যাবু বানাবেন সেটাই সামাজিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। করোনাকে প্রথম থেকেই ট্যাবু টাইপ করা হয়েছিলো, যার ফলে দেশের মানুষজন এটাকে ঘেন্না করতে শিখে গেছে।
এখন বাংলাদেশে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে খুব সহজে নিজেদের প্রকাশ করবে না। করলেই অসুখের পাশাপাশি সামাজিক বিপদ কে সামাল দেবে? এতে করে করোনা আরও বেশি ছড়াবে, কারণ রোগী ভয়ে পালিয়ে থাকবে। করোনা রোগীর নাম ও স্থান গোপন করার কারণে রোগী শনাক্তকরণ কাজটিও কঠিন হয়ে পড়বে। লক্ষ্য করার বিষয় যারা প্রথম থেকেই এই গোপন করার পলিসি নিয়েছে, সেই তারাই কোনো বাড়ি বা এলাকায় করোনা রোগী পেলেই লকডাউন করে দিচ্ছেন। এতে করে কি কিছু আসলেই গোপন থাকছে? সাধারণ মানুষের মাইন্ড সেট ক্ষতিগ্রস্ত করে ভালো কোনো ফল বের করা কখনোই সম্ভব হয় না, সত্যিকারের বাস্তবতা মানুষকে বুঝতে শেখায় যদি সেটার উপস্থাপন সঠিক ও মানবিক হয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :