শরীফ শাওন : [২] বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, দয়া করে বিশ্বাস রাখুন, মার্চের বেতন অবশ্যই পরিশোধ করবো। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন পক্ষই সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। পোশাক শ্রমিকদের মার্চের বেতন দেয়ার সময়সীমা দেয়া হয়েছে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত। বেতন দেয়ার আরও সময় বাকি আছে, এবং আমরা আশা করি ৮০ শতাংশ কারখানা মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, বেতন পরিশোধের নির্দিষ্ট দিন নির্ধারন করে কারখানার প্রধান গেটে নোটিশ টানিয়ে দিতে আমরা কারখানা মালিকদের আহ্বান জানিয়েছি। শ্রমিকরা বেতন নিয়ে আশ্বস্ত হতে চান, নির্দিষ্ট সময় জানিয়ে দেয়া মালিকদের দায়িত্ব।
[৩] তিনি আরও বলেন, সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। রাস্তাগুলো লকডাউনে আছে, ব্যাংকগুলো সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। প্রায় ৭৮ শতাংশ কার্যাদেশ বাতিল হওয়াসহ নানাভাবে বিপদগ্রস্ত কারখানা মালিকপক্ষ।
[৪] বিজিএমইএ মুখপাত্র জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটনে ৩৭২ কারখানার ১০১টি, গাজীপুরের ৮১৮টির মধ্যে ৩০৫টি, সাভার আশুলিয়ার ৪৯১টির মধ্যে ১৮৭টি, নারায়ণগঞ্জের ২৬৯টির মধ্যে ৭১টি ও চট্টগ্রামের ৩২৪টির মধ্যে ৯৭টি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে।
[৫] সোমবার (১২ এপ্রিল) বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এর আগে সকাল থেকে লকডাউন ভেঙ্গে বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামেন পোশাক কর্মীরা। সাভার আশুলিয়া, গাজীপুর ও মিরপুরে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামেন। অনেকের অভিযোগ ফেব্রুয়ারির বেতনও পাননি তারা। অভিযোগ রয়েছে, বেতনের দিন ধার্য্য করেও দেয়া হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ পুণরায় ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য্য করলেও পরে স্টাফরা জানান, সেদিনও বেতন দেয়া হবে না। এসকল অভিযোগ জানান রকিব ফ্যাশন লিমিটেড, ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপ ও নিউওয়ে ফ্যাশন কারখানা শ্রমিকরা।