শেখ আদনান ফাহাদ : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন অনেক সময় নিয়ে সারাদেশের ডিসি, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নার্স, সুস্থ হয়ে যাওয়া করোনা রোগীও সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আমলাতন্ত্রের নিজস্ব একটা ভাষা, কৌশল থাকে। প্রায় সবাই বলেছেন, তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের সমস্যা বা সংকট নেই। আমলাদের কথা শুনে মনে হচ্ছিলো আমরা মনে হয় স্বর্গে আছি। প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বুঝতে পারছিলেন সব কিছু। তাই তিনি অলিগলির খবর নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমি একটা প্রস্তাবনা এখানে তুলে ধরছি। রাষ্ট্রে যে শুধু আমলা থাকে তা তো নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলে বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সমাজকর্মী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এখন এমন ভিডিও কনফারেন্স করতে পারেন। এই প্রতিনিধিরা সমাজের সমস্যাগুলো এবং তাদের চোখে বর্তমান পরিস্থিতি নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যার সামনে তুলে ধরবেন। একসঙ্গে করতে হবে এমন নয়।
বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন এক সপ্তাহে। আরেক সপ্তাহে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে। আরেকদিন সাংবাদিক, সমাজবিজ্ঞানীদের সঙ্গে। এতে করে পুরো সমাজের চিত্র আরও পরিষ্কারভাবে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উঠে আসবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে সরকারের করণীয়গুলো সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যাবে। একটা উদাহরণ দিই। দেশের গণমাধ্যম শিল্পের সামনে এখন ভয়াবহ সংকট। বহু সাংবাদিক চাকরি হারাবে। ইতোমধ্যে হারিয়েছে। আরও হারাবে। করোনাভাইরাসের জন্য অনেক পত্রিকা, টিভি চ্যানেলের মালিকপক্ষ মূল ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রথমেই অসহায় সাংবাদিকদের চাকরি খেয়ে ফেলবে। গার্মেন্টস শিল্পে সরকার যেমন প্রণোদনা দেয়, সংবাদপত্র শিল্পেও দেওয়া উচিত। আমার ধারণা এমন অনেক বিষয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রস্তাবিত ভিডিও কনফারেন্সে উঠে আসবে। এমন করতে পারলে করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ আরও সক্ষম হয়ে উঠবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :