গৌতম চক্রবর্তী : ([১] গত কয়েকদিন একটা কোকিল ডাকছে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা। গত পরশু রাত ১টা ২০তেও সেই ব্যাটা ডাকছিল। কেন, কে জানে? [২] পাশের বাড়ি থেকে কদিন ধরে ঝগড়ার আওয়াজ আসছিল। আজ সেসব বন্ধ, শুধু গান চলছে। মনে হয় নিয়তি মেনে কোনো একপক্ষ আত্মসমর্পণ করেছেন। [৩] আমার দাদা গত তিন দিন ধরে কোনো কাজ না পেয়ে শুধু বাড়ি পরিষ্কার করে চলেছে। আপাতত বাড়িতে সামান্য জঞ্জালও নেই। [৪] বাচ্চাগুলো বাইরে বের হতে না পেরে প্রবল ঘ্যান ঘ্যান করছে। সামান্য অজুহাতেই একে অন্যকে ঠেঙিয়ে দিচ্ছে। আমরা তাঁদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। [৫] পাড়ার দোকানি খালি দোকান খুলে বসে আছে। মালপত্র প্রায় কিছুই নেই। পাবলিক পেস্ট লিকুইডেটারও কিনে স্টক খালি করে দিয়ে গেছে ধারে। পয়সা নেই, তাই মাল তুলতেও পারছে না বেচারা। [৬] সব বাড়ির রুটিন ওলটপালট, সকাল দশটার আগে পাড়ার ঘুম ভাঙছে না। [৭] সব থেকে ভাল সচ্চরিত্র বন্ধুরাও ফেবুতে পানু পাঠাচ্ছে। মোবাইল গঙ্গাজলে ধুয়ে ওপেন করতে হচ্ছে। কী অবস্থা মাইরি।
[৮] বন্ধুদের ঘন ঘন ফোন, ‘ভাই স্টকে দারু আছে?’ [৯] গিন্নী নানা ধরনের খাবারদাবার বানাচ্ছেন। কিছু দারুণ, কিছু মুখে তোলা যাচ্ছে না। [১০] আজ সিগারেট খাব না ভেবেও দুপিস খেয়ে ফেলেছি। আসলে খুচরো সিগারেট কিনতে সাহস হচ্ছে না, আর গোটা প্যাকেট হাতের কাছে থাকলে নিজেকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না। আপাতত এইটুকুই, আপনারাও লিখুন এই বন্দী জীবনে নিজের অভিজ্ঞতা। পড়ে সময় কাটাই। ফেসবুক থেকে