শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২০, ০৭:৪৬ সকাল
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০২০, ০৭:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনার প্রভাবে হোসেনপুরে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষ, নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়ছে চরম দুর্ভোগ

হোসেনপুর প্রতিনিধি: [২] কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। তাই চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। কোন কাজকর্ম না থাকায় পরিবার-পরিজনের মুখে আহার তুলে না দিতে পারায় হতাশায় ভুগছেন শ্রমজীবী নিম্নআয়ের মানুষ।

[৩] সরেজমিনে উপজেলা কুড়িঘাটে ঘুরে দেখা যায়, বহু শ্রমজীবী মানুষ কাজের সন্ধানে এসে কাজ না পেয়ে অসহায় হয়ে বসে রয়েছে।এসময় কাজের সন্ধানে আসা বাচ্চু মিয়া (৩২) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা বাসাবাড়ির মেরামত, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, ঘাষ কাটা, মাটি ভরাট সহ যেকোন কাজ করি। দৈনিক সর্বনিম্ন ৫০০/ ৬০০ টাকা দিয়ে কাজ করি। আবার অনেক সময় ৪০০ টাকা দিয়েও করি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে কোন কাজ না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে রয়েছি।

[৪] দীপ্বেশ্বর গ্রামের রংমিস্ত্রি বেলাল বলেন, আমি রংয়ের কাজ করি তবে কয়েক দিন ধরে কাজ না থাকায় এখন অন্য কাজ ধরতে এখানে এসেছি। এখন বাজারেও দেখি কোন কাজ নেই। তাই মারাত্মক সমস্যায় পড়েছি। জানিনা কি করবো।

[৫] শহরের রিকশা চালক মনু মিয়া,হাবুল মিয়া,ছমিরসহ অনেকেই আক্ষেপের সুরে বলেন,আগে দিনে যেখানে ছয়-সাতশ টাকা রোজগার করতেন এখন রাস্তায় কোনো যাত্রী না থাকায় রোজগার করতে পারছিনা। এখন কিভাবে সংসারে পরিবারের ভরণপোষণ চালাবো তা নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।
উপজেলা কাওনা গ্রামের অটোরিকশা চালক কুদ্দুস, মোতালিব জানান, রাস্তায় কোন যাত্রী না থাকায় অটো নিয়ে এখন বেকার অবস্থায় পড়ে আছি।

[৫] ধনকুড়া গ্রামের কাজের বুয়া সালেহা জানান, হোটেলে রান্নার কাজকরতাম ।এখন হোটেল বন্ধ থাকায় কাজ করতে পারছি না এখন কিভাবে যে চলবো তাই দিশেহারা। তাই সরকারি ভাবে খাদ্য সরবরাহের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানিয়েছেন অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা শ্রমজীবী নিম্নআয়ের ভুক্তভোগী মানুষেরা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়