শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২০, ০৭:০০ সকাল
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২০, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘করোনা যুদ্ধ এবং প্রবাসী’

ব্রি. জে. (অব.) এমএএস সাদেক: বিদেশ থেকে প্রবাসী বাঙালিরা মাতৃভূমিতে বেড়াতে এসে কমবেশি সবাই শুরুতেই বিমানবন্দরে কখনো কখনো অব্যবস্থা, অনুন্নত মেরামতহীন ভাঙাচুরা পথঘাট উন্মুক্ত ড্রেনেজ দেখে এবং ট্রাফিক জ্যামের কবলে পড়ে বিড়ম্বনায় খুব কষ্ট পায়। এ দেশে থেকে থেকে আমরা অবশ্য নিয়তি হিসেবে এগুলো মেনে নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রয়াস দেখে সুদিনের জন্য অপেক্ষায় থাকি। প্রবাসীরা/রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশ ছেড়ে দূরে থাকলেও নাড়ির টানে বারবার ফিরে আসেন বা আসতে হয়। ফিরে এসে জীর্ণশীর্ণ সেকেলে রূপের পরিবর্তে উন্নত রূপেই দেশকে দেখতে পাওয়ার আশা করেন তাই হতাশও হন। কারণ চকচকে পরিবেশে তিনি যেই পেশা/কাজ করে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হোন না কেন, দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকেই কেউ কেউ ভাবভঙ্গিতে বেশ স্মার্ট, কিঞ্চিৎ ঔপনিবেশিক ধাঁচের হয়ে পড়েন এবং নাক সিটকানো আচরণ করেন। তাই ফলশ্রুতিতে আশাহত হয়ে রাগে, ঘৃণায় ক্ষেদ প্রকাশ করেই ফেলেন, সঙ্গে দু’একটা ইংরেজি ভাষায় দেশকে, জাতিকে নসিহত এবং গালাগালি করেন।

বিদেশে থেকে তো আপনারা অনেক সুশৃঙ্খল ও সভ্যতায় অভ্যস্ত। তবুও নিষেধ না মেনে যখন দেশে চলে এসেছেন, করোনা প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে বিমানবন্দরে অব্যবস্থা, অক্ষমতা দেখে একটু সহ্য করে মানিয়ে নিতে হবে। দেশ কিন্তু এই বিরূপ পরিস্থিতিতেও আপনাকে সাদরে বরণ করে নিয়েছে। আপনি যেই দেশ থেকে এসেছেন সেখানেও করোনা রোধে আচমকা প্রস্তুতি দুর্বল হওয়াটাও কিন্তু স্বাভাবিক, তবে তারা আমাদের চেয়ে উন্নত বিধায় কারও কারও কাছে সুপরিমিত মনে হতে পারে। যা হোক, করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে আমাদের দেশ রাতারাতি সক্ষমতা অর্জন করে মোকাবেলা করে ফেলবে আশা করতেই পারি, কিন্তু বাস্তবে তা কতোটা সম্ভব তাও আমরা সবাই জানি এবং বুঝি। এসেই যখন পড়েছেন এই সময়ে দেশের পাশে আপনাদের-আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে। হাজি ক্যাম্পের অবস্থা অবশ্যই মানসম্মত নয়। এটাও তো বুঝতে হবে এই অবস্থা প্রশাসন বদলে দিতে পারে প্রয়োজন আপনাদের মেহেরবাণী ও ধৈর্য। গালাগালি না করে, ধিক্কার না জানিয়ে সহনশীল হয়ে সবাই যদি সচেষ্ট হই মহান আল্লাহর রহমতে অবস্থার পরিবর্তন অবশ্যই ঘটবে।

অনেকদিন পর দেশে এলে কার না ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এখন তো পরিস্থিতি ভিন্ন, আর আপনি তো এসেছেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে। চলুন কোয়ারেন্টাইন মেনে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রতিপালন করে আমরা করোনা যুদ্ধে অংশ নেই। দেশ তো আমাদের মা, তাই দেশকে দোষারোপ বা তিরস্কার না করে, সম্ভাব্য ক্ষেত্রে উন্নয়নমুখী দেশকে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখে নিদেনপক্ষে সহৃদয়তা দেখাতে হবে। আমাদের ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত কী মহান শক্তি এই ভেবে সবাই একত্রে জেগে উঠি। ‘এই মাটিতে জন্ম যেন এই মাটিতেই মরি।’
লেখক : গ্রুপ কনসাল্টিং এডিটর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়