যশোর প্রতিনিধি: [২] মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই মতিয়ার রহমান জানান, সোমবার সদর উপজেলার তেজরোল গ্রাম থেকে সাদিয়া ইয়াসমিন ওরফে কাকন (১৬) উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণের সাথে জড়িত এজাহার নামীয় আসামি সুমি ও দবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে দবির হোসেনের স্ত্রী সালিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
[৩] ৫ মার্চ সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাটুয়া পাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে নাটুয়া পাড়া মহিলা দাখিল মাদরাসার ছাত্রী (এ বছর দাখিল পরীক্ষার্থী) সাদিয়া ইয়াসমিন কাকন বাড়ির পাশে চাচার বাড়ি যাচ্ছিল। কাকন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বাড়ির সামনে পৌছুলে আগে ওৎ পেতে থাকা নাটুয়াপাড়া মধ্য পাড়ার দবির হোসেনের ছেলে সুমনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা একটি নাম্বার বিহীন মাইক্রোবাসে কাকনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যশোরের দিকে চলে যায়।
[৪] অপহরণের সময় কাকনের চাচী কুলসাম বাধা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। আসামি সুমনের স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও কাকনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফুসলাইতো। কাকন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরন করা হয়।
[৫] এঘটনায় কাকনের মা শাহিনুর বেগম (৪০) ৮ মার্চ ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামী দবির হোসেনের ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান। নস্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী