রাশিদ রিয়াজ : [২] রাশিয়ার ‘সুপার রিচ’ হিসেবে পরিচিত অন্তত ২৪ জন রয়েছেন ব্লুমবার্গ বিলিওনারি তালিকার ৫শ শীর্ষ ধনীদের তালিকায়। তাদেরই একজন ভ্লাদিমির পোটানিন যিনি খনিজ ব্যবসায়ী তিনি গত ৯ মার্চ আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারের দরপতনে হারিয়েছেন ১.৭১ বিলিয়ন ডলার। তার কোম্পানির নাম নরিলস্ক নিকেল। রাশিয়ার শীর্ষ কোটিপতিদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার মোট সম্পদের পরিমান এখনো ২৪.৬ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ/সিএনএন/আরটি/ফোর্বস
[৩] রাশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হচ্ছেন ভাগিত আলেকপ্রভ। রুশ জালানি কোম্পানি লুকঅয়েলের অন্যতম মালিক তিনি। তিনি শেয়ার বাজার দরপতনে খুঁইয়েছেন ১.৯ বিলিয়ন ডলার। আরেক রুশ শীর্ষ ধনী ভ্লদিমির লিসিন ১.০৫ বিলিয়ন ও আলেক্সি মোরদাশভ লোকসান গুণেছেন ৯৯৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত ৯ মার্চ শুধু রুশ কোটিপতিরা শেয়ার ধসে সম্পদ হারিয়েছেন ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ তথ্য দিয়েছে ব্লুমবার্গ বিলিওনারিস সূচক। ওপেকের সঙ্গে রুশ জালানি ব্যবসায়ীদের একমত না হওয়া এবং তেলের উৎপাদন কমাতে ওপেকের রাজি না হওয়ায় রুশ জালানি কোম্পনিগুলোর শেয়ার ধস নামে।
[৪] গত ৯ মার্চের আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজার লেনদেনে মাত্র ১৫ মিনিটে এ অঘটন ঘটে। ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্সের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে লেনদেনে এযোগে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও তেলের দর হ্রাস ভর করলে শেয়ার ধসের ঘটনা ঘটে। এসব শেয়ারবাজারে ১১ থেকে ১৬ শতাংশ দরপতন হয়।
এরপর গত বৃহস্পতিবার ঘটে আরেক দফা শেয়ার ধস। এদিন বিশে^র ২০ শীর্ষ ধনী ৮০ বিলিয়ন ডলার খোয়ান। এধরনের দরপতনকে ‘দি গ্লোবাল মার্কেটস ব্লাডবাথ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা। ফোর্বস বলছে এই শীর্ষ ২০ ধনী বৃহস্পতিবারেই লেনদেন শেষে দেখেন তাদের ৭৮ বিলিয়ন ডলার নেই। শীর্ষ ধনী জেফ বেজস এদিন সবচেয়ে বেশি লোকসান গুণেছেন এবং তা হচ্ছে ৮ বিলিয়ন ডলার। দি অ্যামাজন সিইও বেজোসের কোম্পানির শেয়ার পতন ঘটে ৮ শতাংশের কাছাকাছি এবং তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমান কমেছে ৭ শতাংশের বেশি।
[৫] একইদিন ফ্রান্সের আরেক ধনী বার্নার্ড আরনল্ট ৭.৭ বিলিয়ন ডলার খুঁইয়েছেন। বিশে^র এই শীর্ষ ধনী এদিন দিন শেষে দেখেন তার সম্পদ অবশিষ্ট আছে ৮২.৫ বিলিয়ন ডলার। তার কোম্পানির এলভিএমএইচ’এর শেয়ার হারিয়েছে ৯ শতাংশ। বিলাসবহুল পণ্যের খুচরা বিক্রি কোম্পানিটির চীন ও ফ্রান্সে ক্রেতাদের কাছে ব্যাপক কদর রয়েছে।
[৬] গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গ লোকসান দিয়েছেন ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। তার মানে ফেসবুকের শেয়ার কমে যায় ৯ শতাংশের বেশি। আরেক শীর্ষ ধনী ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন লোকসান করেন ৫.৬ বিলিয়ন ডলার। ওরাকলের শেয়ার পতন ঘটে ১১ শতাংশ।
[৭] এদিন নাসডাক, ডো, এসএন্ডপি ৫০০ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে ৯ শতাংশের বেশি দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। করোনাভাইরাস আতঙ্ক এবং এরফলে মানুষের জনসমাগম বন্ধ ও কেনাকাটায় ব্যাপক হ্রাসে বাজারের বিবিধ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া উঠে আসে ধস হিসেবে।