শিরোনাম
◈ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা ◈ নারায়ণগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার ◈ রাজধানীতে যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না ◈ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড: ২৬১ তাড়া করে জিতল পাঞ্জাব ◈ আজ শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  ◈ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ◈ খিলগাঁওয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু ◈ ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ চুয়েট: সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ফের আন্দোলনের ডাক শিক্ষার্থীদের  ◈ দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান  ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ

প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০২০, ০৫:৩৪ সকাল
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২০, ০৫:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ১০ বছর আগের সিনেমায় করোনাভাইরাসের পূর্বাভাস?

জেবা আফরোজ : [২] আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। ‘কনটেজিয়ন’ নামের ওই চলচ্চিত্রের কাহিনির সঙ্গে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মিল আছে। বিবিসি, দেশ রুপান্তর, আরটিভি

[৩] সিনেমাটি আগে সেইভাবে ব্যবসা করতে না পারলেও এখন কয়েক দিনের ভেতর ‘হিট’ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল আইটিউন স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চলচ্চিত্রটি। সেই সঙ্গে গুগল সার্চের তালিকায় শীর্ষে চলচ্চিত্রটির নাম খোঁজার প্রবণতাও বাড়ছে।

[৪] কনটেজিয়ন চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন ওয়ার্নার ব্রাদারস। তারা বলেছেন, চীনে যখন প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন বিশ্বের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় এটির অবস্থান ছিল ২৭০তম। তিন মাস পরে কনটেজিয়নের জায়গা হয়েছে নবম অবস্থানে। তার সামনে রয়েছে শুধুমাত্র হ্যারি পটার সিরিজের আটটি চলচ্চিত্র। এর একমাত্র কারণ হলো করোনাভাইরাস।

[৫] চলচ্চিত্রটিতে একজন নারী ব্যবসায়ী (গিনেথ প্যালট্রো অভিনয় করেছেন) একটি রহস্যময় এবং মারাত্মক ভাইরাসে মারা যান। চীনে একটি সফরের সময় তিনি ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় পর্যন্ত ওই ভাইরাসের ব্যাপারে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।

[৬] কনটেজিয়নের দর্শকেরা বলছেন, বর্তমান বাস্তব জীবনের ভাইরাস সংক্রমণ যেমন চীন থেকে শুরু হয়েছিল, তেমনি চলচ্চিত্রটির এরকম কাহিনির মিলের কারণেই সেটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। হুয়াং ঝাং নামের একজন নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছে নভেল করোনাভাইরাসেরই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

[৭] চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে, এমইভি-ওয়ান নামের একটি ভাইরাস শুকর থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। বাস্তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন যে, গত ডিসেম্বর মাস নাগাদ চীনের উহান শহরে পশু থেকে মানব শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করে।
এটাও ধারণা করা হয় যে, করোনাভাইরাস বাদুড়ের মাধ্যমে বিস্তার ঘটেছে, যেমনটা ঘটেছিল সার্স মহামারির ক্ষেত্রে ২০০২-২০০৩ সালে। বাদুড় থেকে সেটা অন্য একটি প্রাণী হয়ে মানব শরীরে আসে।

[৮] কল্পিত এবং বাস্তব এই ভাইরাস, উভয়ের ক্ষেত্রেই ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটে। তবে চলচ্চিত্রের কল্পিত এমইভি-ওয়ান ভাইরাসের ধারণাটি এসেছিল বাস্তবের আরেকটি ভাইরাস নিপাহ থেকে, যা অবশ্য করোনাভাইরাস গোত্রের নয়।

[৯] কনটেজিয়ন চলচ্চিত্রে এমইভি-ওয়ানে আক্রান্ত হয়ে একমাসের মধ্যেই বিশ্বে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে চীনে তিন মাস আগে করোনাভাইরাসের বিস্তারের পর দেশটিতে এত মৃত্যু হয়নি। চলচ্চিত্রে যখন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, তখন এপিডেমিক ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (যা বাস্তবের একটি প্রতিষ্ঠান) কর্মীরা সংক্রমিতদের শনাক্ত এবং আইসোলেশন করতে শুরু করেন।

[১০] ওই চলচ্চিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শহর শিকাগো কোয়ারেন্টিন করা হয়, যার সঙ্গে চীনের এলাকাকে অবরুদ্ধ করে ফেলার তুলনা করা যেতে পারে। কনটেজিয়নের জনপ্রিয়তার পেছনে আরও একটি কারণ বার্নস এটিকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করেছিলেন।

[১১] চিত্রনাট্য লেখার সময় তিনি ভাইরোলজিস্ট এবং এপিডেমিওলজিস্টদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন, যাদের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়