মাজহারুল ইসলাম : [২] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। রপ্তানি আয় কমায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। তবে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বহাল থাকায় বৈদেশিক লেনদেনে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে।
[৩] ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ২৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৩ হাজার ২০০ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে জানুয়ারি শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ৮১ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে)। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ঘাটতির পরিমান ছিলো ৯৮৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
[৪] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে তা ঋণাত্মক হয়েছে।
[৫] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনও ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো।
[৬] তবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে প্রথম সাত মাসে সামগ্রিক লেনদেনে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেনে ৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘাটতি ছিলো।
[৭] আলোচিত এই সময়ে সেবাখাতে বিদেশিদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ৬৩৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে মাত্র ৪২০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এ হিসাবে ৭ মাসে সেবায় বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২১৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।
[৮] প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আলোচিত সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৩২২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এরমধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও নিট বেড়েছে ৩ দশমকি ৯৬ শতাংশ।