মঈন উদ্দীন, রাজশাহী প্রতিনিধি :[২] রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে জরুরি ফি দিয়ে আবেদনের পরও নির্ধারিত সময়ে মিলছে না পাসপোর্ট। অপেক্ষা করতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে যেতে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে যারা আবেদন করেছেন, তারাও বিপাকে পড়েছেন। সাধারণ বা জরুরি ফি’র কোনো পার্থক্য নেই এখন। সবারই সময় লাগছে প্রায় একই সমান।
[৩] অনেকে জরুরি পাসপোর্টের আবেদন করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা। তারা বলেন, সকল প্রক্রিয়া শেষে নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য কর্তৃপক্ষ মোবাইলে এসএমএস পাঠায় আবেদনকারীদের কাছে। কিন্তু ৩-৪ মাস পরও এসএমএস না পাওয়ায় অনেকেই ভীড় জমাচ্ছেন পাসপোর্ট অফিসের বিতরণ শাখায়। পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা জানান, আবেদনকারীদের বেশির ভাগই চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে চান। কিন্তু পাসপোর্ট না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
[৪] এবিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক আজমল কবির ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে জানান, তাঁর অফিসে এখন আট হাজার পাসপোর্ট বিতরণ প্রক্রিয়া আটকে অছে। প্রতিদিনই নতুন আবেদন জমা পড়ছে প্রায় দেড়শ’। কিন্তু সে তুলনায় ঢাকা থেকে প্রিন্ট হয়ে আসছে খুব কমসংখ্যক’। তিনি আরো জানান, ই-পাসপোর্ট চালু ও এমআরপির মধ্যবর্তী সময় এখন। একারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে এ সমস্যা শিগগিরই কেটে যাবে।
[৫] উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে আবেদনের ১১কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ও ২১দিনের মধ্যে সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনকারী হাতে পাওয়ার কথা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ